হঠাৎই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাকা আশরাফ। তাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের পদ ফাঁকা হয়ে পড়ে। সেই জায়গা পূরণে নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
আজ (বুধবার) পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ খাওয়ারকে পিসিবির অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই আইনজীবী এতদিন পিসিবির নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
পিসিবি থেকে এক বিবৃতিতে তার নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানো জানানো হয়েছে, শাহ খাওয়ারের অধীনে আগামী মাসে পিসিবির স্থায়ী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পিসিবি গঠনতন্ত্রের ধারা ৭(২) অনুসারে নির্বাচন কমিশনারকে পিসিবি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।”
ওই বিবৃতিতে শাহ খাওয়ার বলেছেন, “আমার প্রাথমিক দায়িত্ব হলো, যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।”
ফেব্রয়ারির নির্বাচনেই জানা যাবে পিসিবির স্থায়ী চেয়ারম্যানের নাম। তবে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের খবর, তিন বছর মেয়াদে পিসিবির চেয়ারম্যান হতে পারেন পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি।
Mr Shah Khawar, Advocate of the Supreme Court of Pakistan and the Election Commissioner of PCB, has assumed charge as Chairman PCB.
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) January 24, 2024
Read more ➡️ https://t.co/9g3l0pRMrK pic.twitter.com/wYSy2sx66x
গত জুলাইয়ে পিসিবির ১০ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি (আইএমসি) করে দেয় পাকিস্তান সরকার। এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন জাকা আশরাফ। কমিটিরর দায়িত্ব ছিল, চার মাসের মধ্যে বোর্ডের স্থায়ী চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন আয়োজন করা।
যদিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে পারেনি কমিটি। ফলে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক আরও তিন মাস মেয়াদ বাড়ান কমিটির। সেই সময়সীমা অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল আশরাফের দায়িত্বের মেয়াদ। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি হঠাৎই পদত্যাগ করেন ৭২ বছর বয়সী ক্রিকেট কর্তা।
ওই সময় পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর ছিল, স্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে আশরাফই পেতে যাচ্ছেন দায়িত্ব। কিন্তু নানা চাপে তিনি পদত্যাগ করলে আবার তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। এবার নতুন করে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া শাহ খাওয়ার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।