২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তবে রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কে পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে যাবে না বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। এই অবস্থায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে আইসিসির প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির বিশ্বাস, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে ভারতও আসবে পাকিস্তানে।
২০২৩ সালের এশিয়া কাপের আয়োজকও ছিল পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানের যেতে চায়নি ভারত। পরে হাইব্রিড মডেলে হয় এশিয়া কাপ। পাকিস্তানের সঙ্গে আয়োজকের খাতায় নাম ওঠে শ্রীলঙ্কায়। ভারতের ম্যাচ পাকিস্তানের বাইরে রেখে হয় সূচি। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও একই পদ্ধতিতে হওয়ার আলোচনা।
এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে পিসিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস সব দেশের অংশগ্রহণে পাকিস্তানেই হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেখানে ভারতও থাকবে বলে তার বিশ্বাস।
সোমবার (১৯ আগস্ট) লাহোরে সংবাদ মাধ্যমকে পিসিবি চেয়ারম্যান বলেছেন, “স্টেডিয়াম তৈরির কাজ চলছে। সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। ভারতও আসবে।”
শুধু যে ভারতের আসা-না আসার দোলাচলে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ব্যাপারটা তেমন নয়। স্টেডিয়ামের অবকাঠামোও শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে তাদের আয়োজক-স্বত্বকে। কারণ ভেন্যুগুলো এখনও আন্তর্জাতিক মানের করতে পারেনি পাকিস্তান।
তবে মহসিন নাকভির বিশ্বাস, অবকাঠামোর উন্নয়ন টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সম্পন্ন হয়ে যাবে, “নির্মাণ কাজ দিন-রাত চলছে, যাতে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগে করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ করাটা চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা আশা করছি কাজ শেষ হয়ে যাবে।”
পিসিবি চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তি, “আমাদের স্টেডিয়াম ও বিশ্বের অন্যান্য স্টেডিয়ামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমাদের কোনও স্টেডিয়ামই আন্তর্জাতিক মানের নয়। এজন্য স্টেডিয়ামগুলোর মান বাড়ানোর প্রয়োজন।”
স্টেডিয়ামের অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু পাল্টে গেছে। ২১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল করাচি স্টেডিয়ামে। তবে ওই ম্যাচ সরিয়ে আনা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে। এখানেই হবে প্রথম টেস্ট।