বিষয় যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন খুব কম মানুষই মধ্যবর্তী কোনও অবস্থান নিতে পারেন- এমনই মত বিবিসির উত্তর আমেরিকা সম্পাদক সারাহ স্মিথের।
নির্বাচনী প্রচারের সময় জুড়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি বলছেন, “যত ভোটারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি তাদের বেশিরভাগেরই চাওয়া ছিল একটাই : তিনি (ট্রাম্প) যদি তার নোংরা মুখটা বন্ধ রাখতে পারতেন।“
তবে এই ‘নোংরা মুখের’ বিষয়টি তারা এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন মনে করেন সারাহ। তারা বরং মনোযোগ দিয়েছেন ট্রাম্পের একটি প্রশ্নে, যে প্রশ্নটি ট্রাম্প তার প্রত্যেক সমাবেশে জিজ্ঞেস করতেন। ট্রাম্প জানতে চাইতেন, “আপনারা কি এখন দুই বছর আগের চেয়ে ভালো আছেন?”
ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া অসংখ্য মানুষ সারাহকে বলেছেন, ট্রাম্প যখন দায়িত্বে ছিলেন তখন অর্থনীতি অনেক ভালো ছিল বলে তারা মনে করেন। এখন তারা দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর চেষ্টায় ক্লান্ত। মূল্যস্ফীতির বেশিরভাগটার জন্য কোভিড–১৯ মহামারীর মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না- এমন বিষয় দায়ী হলেও তারা বিদায়ী প্রশাসনকে দায়ী করেন।
কোটি কোটি ডলার ইউক্রেনের জন্য খরচ করা নিয়ে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে মানুষকে অভিযোগ করতে শুনেছেন বিবিসির এই সম্পাদক। তাদের মত হলো, ওই ডলার ভালোভাবে দেশে খরচ করা যেত। শেষ পর্যন্ত তারা কমলা হ্যারিসকে ভোট দিতে পারেননি। তাদের বিশ্বাস, কমলাকে ভোট দিলে অবস্থা আগের মতোই থাকবে। কিন্তু তারা চাইছিলেন পরিবর্তন।
সারাহর মতে, শেষ বিচারে ভোটারদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ধরন হাজির করা হয়েছিল। ট্রাম্প বলেছিলেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্র পতনশীল একটি দেশ এবং শুধু তিনিই (ট্রাম্প) দেশটিকে আবার গ্রেট করে তুলতে পারেন। কমলা হ্যারিস সতর্ক করছিলেন এই বলে যে, ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হলে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র অস্তিত্বের হুমকিতে পড়বে। তা হবে কি না, দেখার বাকি আছে এখনও।