আর্সেনালের সব ফুটবলার মিলে খেলেছেন ১০৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ। সেখানে পোর্তোর পেপের চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যাচ ১১৮! ম্যাচের আগের পরিসংখ্যান ছিল এমনই। এই যে অভিজ্ঞতা, সেখানেই হেরে গেছে আর্সেনাল।
সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে আর্সেনাল করেছিল ২১টি গোল। সেখানে পোর্তোর বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটে পোস্টে শট নিতে পারেনি একটিও! এর অন্যতম কারণ পেপে। অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ৪১ বছর বয়সে পা রাখতে চলেছেন পেপে। আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতার বয়সও ৪১!
বুড়ো হাড়ের ভেল্কিতে রক্ষণে দুর্গই তৈরি করেছিলেন পেপে। কখন কোথায় থেকে আক্রমণ নষ্ট করতে হবে দেখিয়েছেন আরও একবার। শেষ পর্যন্ত পোস্ট সুরক্ষিত রেখে ১-০ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে পোর্তো।
Rio Ferdinand asking Pepe how is he still doing this at the age of 40. I miss him and Ramos man 🥲pic.twitter.com/OmzYuOkwIL
— WolfRMFC (@WolfRMFC) February 21, 2024
ম্যাচ শেষে মাঠের পাশে এসেছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড। হাত মিলিয়ে তিনি বলছিলেন,‘‘এই বয়সে কীভাবে এমন খেললে পেপে।’’ জবাবে শুধু হেসেছেন ৪১বছর ছুঁই ছুঁই পেপে।
মাঠে নেমেই একটা রেকর্ড গড়েছেন পেপে। ৪০ বছর ৩৬০ দিনে খেলেছেন ম্যাচটা, তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে সবচেয়ে বেশি বয়সী আউটফিল্ড ফুটবলারের (গোলরক্ষক ছাড়া) রেকর্ডটা এখন তার। ২০১৪ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগস আগের রেকর্ডটা গড়েছিলেন ৪০ বছর ১২৩ দিন বয়সে।
গত বছর সবচেয়ে বয়সী হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের রেকর্ডও গড়েছিলেন পেপে। গোল করেছিলেন ৪০ বছর ২৫৪ দিনে।
কাল চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড গড়েছেন বার্সেলোনার লামিন ইয়ামালও। সবচেয়ে কম বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট ম্যাচ খেলেছেন বার্সার এই তরুণ। নাপোলির বিপক্ষে ম্যাচের দিন তার বয়স ছিল ১৬ বছর ২২৩ দিন। দুজনের বয়সের ব্যবধান ২৪ বছর ১৩৭ দিন! তারা দুজন এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ও সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আউটফিল্ড ফুটবলার।