বৃহস্পতিবার শীতের বিকেলে কমলাপুর স্টেডিয়ামে এলেন বাফুফের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার। স্টেডিয়ামে এসেই চলে গেলেন কৃত্রিম টার্ফে। সেখানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এলিট একাডেমিতে থাকা ৫২ জন ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও ফেডারেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচিত হন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের সাবেক এই মিডফিল্ডার।
পরিচিতি শেষে তিনি জানালেন বাংলাদেশে আসার আগ্রহের কারণ, “জাতীয় দলের কোচের (লাইবেরিয়া ও বতসোয়ানা) দায়িত্ব পালন করেও কেন একাডেমির কোচ হলাম, এমন প্রশ্ন শুনে আমি হতবাক হইনি। আমি এশিয়ান অঞ্চলে কাজ করেছি। টেকনিকাল ডিরেক্টর হিসাবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলোয়াড় যোগান দিতে আমি এখানে এসেছি। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে ভালো লেগেছে, তাই আমার এই দায়িত্ব নেওয়া । আসলে এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।”
বাফুফের সাবেক টেকনিকাল ডিরেক্টর পল স্মলি এলিট একাডেমির দায়িত্বে ছিলেন। একাডেমির ফুটবলাররা ব্রিটিশ ফুটবল মডেল ও কোচিংয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত। পিটার ব্রিটিশ হলেও নিজেকে সেই মডেলে আটকে রাখতে চান না। তার কথা, ‘আমি উন্মুক্ত। খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমি অনুশীলন করাব।’
বাফুফের সাবেক টেকনিকাল ডিরেক্টরের সঙ্গে পিটারের পরিচয় নেই বলেও জানিয়েছেন।
বাফুফের এলিট একাডেমির সাবেক কোচ পল স্মলি খেলোয়াড় সন্ধানে বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ে যাননি। নতুন কোচ এসে জেলা পর্যায়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন, ‘আমি শুনেছি বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা রয়েছে। প্রতিটি জেলায় যাওয়া সম্ভব নয়। টুর্নামেন্ট হলে বা কোনো আয়োজন থাকলে আমি অবশ্যই কয়েকটি জেলায় যাব প্রতিভার সন্ধানে।’
উদীয়মান এই ফুটবলারদের ওপর বিশ্বাস আছে বাটলারের, “ এই যুবাদের ওপর বিশ্বাস আছে। আসলে ফুটবল উন্নয়ন একটা ধারবাহিক প্রক্রিয়া। ইয়র্কশায়ারের একটা ক্রিকেটময় পরিবেশে থেকেও ওয়স্টহামের মতো ফুটবল দলে খেলেছি। আসলে স্বপ্ন দেখাটাই হলো আসল।”
ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের ফুটবলার এবং দুটি দেশের জাতীয় দলের কোচ- দু’দিক থেকেই বেশ সমৃদ্ধশালী বাটলারের কাছে ফেডারেশনের প্রত্যাশা অনেক। বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘তার কাছে আমাদের একটাই চাওয়া, মানসম্পন্ন ফুটবলার তৈরি করে বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
একাডেমিতে বর্তমানে ৫৬ জন ফুটবলার রয়েছে অনুর্ধ্ব ১৫ ও ১৭ বছর বয়সী। আরো ফুটবলার বাড়াতে চায় বাফুফে। আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের একাডেমি কাপ চলমান রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টেও বেশ কয়েকজন মেধাবী ফুটবলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওখান থেকেও কয়েকজনকে একাডেমিতে নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে একাডেমিতে একশ’জন ফুটবলার রাখা।
