নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে পিটার হাস তার সঙ্গে দেখা করেন বলে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি’ বলে যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেওয়ার পর দেশটির রাষ্ট্রদূত বুধবারই প্রথম নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স পোস্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান গতিশীল ও বহুমুখী সম্পর্কের প্রশংসা করেন।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার হবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন পিটার হাস।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগ থেকে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। যার অংশ হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিকে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় আনার ঘোষণাও এসেছিল দেশটির পক্ষ থেকে। নির্বাচনের আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটে ২২৩ আসনে জয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। সরকার গঠনের পর ভারত, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং রাষ্ট্রদূতেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়। সেখানে বলা হয়, “অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। আমরা দুঃখিত যে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ছিল না।”
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
