আজ ৬২তম জন্মদিন ফিল সিমন্সের। এদিনই কিনা সংবাদ সম্মেলনে এলেন বাংলাদেশের এই ক্যারিবিয়ান কোচ। স্বাভাবিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে উঠল প্রশ্নটা, জন্মদিনের কী উপহার চান?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬ টেস্ট আর ১৪৩ ওয়ানডে খেলা সিমন্স শিষ্যদের কাছে চাইলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ‘‘এখন আর জন্মদিনের উপহার চাওয়ার পর্যায়ে নেই। তবে প্রথম টেস্ট জিতলে ভালো একটা উপহার হবে।’’
বিসিবির সঙ্গে নতুন চুক্তির পর জিম্বাবুয়ে সিরিজই সিমন্সের প্রথম পরীক্ষা। ২০ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ম্যাচ চট্টগ্রামে। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে না ভেবে সিলেট টেস্টে সব মনোযোগ দিতে চান সিমন্স, ‘‘এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার কথা আলোচনা করব। প্রথম টেস্ট জেতার জন্য আমাদের প্রথম দিন জিততে হবে। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে পারব না। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে।’’
সিলেট ভেন্যুর প্রশংসাও ঝড়ল সিমন্সের কণ্ঠে, ‘‘এখানকার সুযোগ সুবিধা আমার স্বপ্নের মতো মনে হয়। আপনি যা চান, তাই করতে পারবেন। খুব দূরে নয় হোটেলটাও।’’
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ৮ ম্যাচ। ৭ ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ে। ড্র হয়েছে ৩ টেস্ট। সবশেষ দেখায় ২০২১ সালে ২২০ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার জেতার জন্য স্পিনিং উইকেটের দরকার নেই বলে জানালেন সিমন্স, ‘‘আমাদের পরিকল্পনায় প্রপার উইকেট। আমরা যেরকম টেস্ট দল হয়ে উঠতে চাই, সেজন্য যেমন উইকেট দরকার সেরকমই চাই। জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য স্পিন ট্র্যাক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। প্রপার উইকেটে খেলেই আমরা টেস্ট জিততে চাই। স্পিন ট্র্যাক, সিমিং ট্র্যাক এমন কোনো আলোচনা হয়নি।’’
জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি আর বাংলাদেশের নাহিদ রানা নিয়ে সিমন্স বললেন, ‘‘পেসারদের পক্ষে উইকেট থাকলে বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষেই মুজারাবানি হুমকি। তার উচ্চতা অনেক বেশি, এটা তাকে ভিন্নরকম সুবিধা দেয়। তবে তার বিপক্ষে ছেলেরা খেলেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা হয়েছে। নাহিদ রানার ব্যাপারটাও মুজারাবানির মতোই। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে ও।’’