পই পই করে সতর্ক করা হয়েছিল; জাহাজের গতিপথ ঘুরিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেসব কথায় কান দেননি এমভি মাস্ক আলাবামা জাহাজের ক্যাপ্টেন ফিলিপস। ফলে বিপত্তি যা ঘটার তা ঘটেই গেলো; চারজন জলদস্যু কবজা করে নিল বিশাল জাহাজটিকে। জিম্মি হলো ২১ জন নাবিক। ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে আটকে বড় অংকের মুক্তিপণ চাইল জলদস্যুরা।
সোমালি জলদস্যুর কবলে এমভি আলাবামা
এমভি মাস্ক আলাবামা অনেক যজ্ঞ করেই নির্মাণ হয়েছিল। এই কন্টেইনারবাহী জাহাজ ১৯৯৮ সালে প্রথম সাগরে ভাসে। গোড়ায় ড্যানিশদের অধীনে থাকলেও পরে যুক্তরাষ্ট্র এর মালিকানা নেয়।
চিনের এক প্রতিষ্ঠানের অধীনে তাইওয়ানের জাহাজ নির্মাণ কারখানায় তৈরি হয় মাস্ক আলাবামা। এই জাহাজের দৈর্ঘ্য ৫১০ ফুট। যাত্রী, জ্বালানি. পানি ইত্যাদি মিলে এই জাহাজের ডেড-ওয়েইট টনেজ (ডিডব্লিউটি) হচ্ছে ১৫ হাজার টন। জাহাজের গতি তোলা যাবে ১৮ নটের বেশি।
২০০৯ সালের এপ্রিল। ওমানের সালালাহ থেকে কেনিয়ার মোমবাসার দিকে ভেসে চলেছে মাস্ক আলাবামা। জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তার শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির খাবার ও কৃষি রদসও ছিল ওই জাহাজে। ৫০৮ ফুট লম্বা জাহাজে তখন ২১ জন ছিল; এদের একজন ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন ৫৩ বছর বয়সী রিচার্ড ফিলিপস।
সোমালিয়ার উপকূল মানেই জলদস্যুদের উৎপাত। ৭ এপ্রিল সোমালিয়ার উপকূল হতে কয়েকশ মাইল দূর দিয়েই চলছিল আলাবামা। ভারত মহাসাগরে পড়ন্ত বিকালে জলদস্যুদের কয়েকটি নৌকা জাহাজের পিছু নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত অসফল হয়ে ফিরে যায় তারা।
বুধবার ৮ এপ্রিল সকাল। সোমালি জলদস্যুরা আবারও নৌকা নিয়ে ফিরে আসে। জাহাজের একজন ক্রু ক্যাপ্টেনকে সতর্কও করে। কিন্তু ক্যাপ্টেন ফিলিপস তা হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ওটা হয়তো জেলেদের নৌকা।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাহাজ ধরে ফেলে জলদস্যুরা। তাদের কাছে ছিল একে-৪৭। ওদিকে জাহাজের ক্রুরা ছিল নিরস্ত্র। তারা আগুনের গোলা ছুড়ে, জলকামান দিয়ে জলদস্যুদের ঠেকাতে চেষ্টা করলো।
তাতে কাজ হলো না। দুজন জলদস্যু ঠিকই জাহাজে ঢুকে পড়লো। অন্তত দুইশ বছরের মধ্যে কোনো আমেরিকান পতাকাবাহী জাহাজে সেই ছিল জলদস্যুদের প্রথম পা রাখা।
উপায় না দেখে ক্রুরা জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে নাবিকদের কেউ কেউ জাহাজের খাবার ও পানি ছাড়া ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘেরা ভারী দরজা দেওয়া স্টিয়ারিং কক্ষে নিজেদের আটকে ফেলে। ওদিকে ফিলিপস এবং ক্রুদের আরও কয়েকজনকে ধরে ফেলে জলদস্যুরা। এসবের মধ্যে আরও দুজন জলদস্যু জাহাজে উঠে পড়ে।
নৌকায় ক্যাপ্টেন রিচার্ড ফিলিপসকে জিম্মি করে রাখে জলদস্যুরা। বন্দিদের ছেড়ে দিতে ২০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
রবিবার ১২ এপ্রিল ২০০৯। জিম্মি দশার পঞ্চম দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর স্নাইপার দল তিনজন জলদস্যুকে গুলি করে মেরে ফেলে। চতুর্থ জলদস্যুকে জীবিত আটক করা হয়। এমভি মাস্ক আলাবামা এবং ক্যাপ্টেন ফিলিপস বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়।
আটক জলদস্যু আবদুওয়ালি মুসে এই ঘটনায় ৩৩ বছর নয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত হয়। যে পাঁচ টনের লাইফবোটে ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে জিম্মি করে রেখেছিল জলদস্যুরা তা পরে ন্যাশনাল নেভি সিল মিউজিয়ামে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। আলাবামা অবশ্য এখনও সাগরে পাড়ি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
জাহাজের অনেক ক্রু পরে অভিযোগ তুলেছিল, ক্যাপ্টেন ফিলিপস সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে সবাইকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন তখন।
২০০৯ সালে কয়েকজন জাহাজের মালিক মাস্ক লাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ কোটি ডলার দাবি করে অভিযোগকারীরা। ক্ষতিপূরণের অংক গোপন রেখে এ মামলা পরে মীমাংসা করে নেওয়া হয়েছিল।
সত্য ঘটনা থেকে সিনেমা
জাহাজে জিম্মি থাকার অভিজ্ঞতা লিখেছিলেন ক্যাপ্টের ফিলিপস; যা মলাট বদ্ধ হয়ে প্রকাশ পায় ঘটনার পরের বছরই; ২০১০ সালে। আ ক্যাপ্টেনস ডিউটি: সোমালি পাইরেটস, নেভি সিলস অ্যান্ড ডেনজারাস ডেজ অ্যাট সি নামে প্রকাশিত বইটির সহলেখক হলেন স্টেফান টালটি।
এই বই ক্যাপ্টেন ফিলিপসকে পুরোপুরি নায়কের জায়গায় নিয়ে বসায়।
তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বইটি নিয়ে বলেন, “আমি সবাইকে দেশের গর্ব ক্যাপ্টেন ফিলিপসের সাহসিকতা এবং জাহাজে থাকা ক্রুদের নিয়ে উদ্বেগের কথা জানাচ্ছি। তার সাহস সব আমেরিকানের জন্য অনুসরণযোগ্য।”
এই বই থেকে জানা যায়, জাহাজের ক্রুদের লড়াকু শক্তি নিয়ে জলদস্যুরা আগে কোনো রকম আঁচ করতে পারেনি। এমনকি ক্রুদের বাঁচাতে ক্যাপ্টেন ফিলিপস যে নিজেই জিম্মি হতে রাজি হবেন তাও ছিল অকল্পনীয়।
আ ক্যাপ্টেনস ডিউটি বইটিতে উঠে আসা আলাবামা জাহাজ ছিনতাই ঘটনাটি পরে বড় পর্দায় ফুটে ওঠে। সাবেক সাংবাদিক পল গ্রিনগ্রাসের পরিচালনায় ২০১৩ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পায় ক্যাপ্টেন ফিলিপস সিনেমা। আমেরিকান অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস ছাড়া আর কাউকে ক্যাপ্টেন ফিলিপস চরিত্রে ভাবতে পারেননি এই পরিচালক।
এই সিনেমা করতে গিয়ে টম হ্যাঙ্কস তিনবার রিচার্ড ফিলিপসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। টম হাঙ্কসের আগমন নিয়ে ইউএসএ টুডের কাছে ফিলিপস বলেছিলেন, “তিনি আমাকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিলেন।
“আমরা এটা-সেটা নিয়ে কথা বলেছি। আন্ডারহিল কান্ট্রি স্টোর থেকে আমাদের জন্য স্যান্ডউইচ আনিয়েছিলাম আমি।”
বাস্তব অনেক সময়ই সিনেমাকে ছাপিয়ে যায়। আবার বাস্তব ঘটনা থেকে সিনেমা আরও বেশি নাটকীয়তা নিয়ে হাজির হয়। এই সিনেমাও বই অথবা বাস্তব থেকে অনেক জায়গায় অতিরঞ্জন দেখিয়েছে।
সিনেমায় জলদস্যুদের উদ্দেশে ক্যাপ্টেন ফিলিপস বলে ওঠেন, “যদি কাউকে গুলি করতেই চাও তাহলে আমাকে গুলি করো।” যদিও বাস্তবে এভাবে নিজেকে বন্দুকের সামনে উৎসর্গ করে দেওয়ার মতো কথা বলেননি আলাবামা জাহাজের ক্যাপ্টেন।
কাঁচের টুকরা ছড়িয়ে ফাঁদ পেতে জলদস্যুদের কাবু করার চেষ্টা দেখানো হয় সিনেমায়। বাস্তবে ঘটনার সময় ক্রুরা এমন কিছু করেনি। তবে আবদুওয়ালি আবদুখাদির মুসেকে ছোট একটি ছুরি দিয়ে ঘায়েল করেছিলেন জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার মাইক পেরি। সিনেমার এই দৃশ্য বাস্তবেও ঘটেছিল।
সিনেমায় দেখানো হয় বন্দি ক্যাপ্টেন তার পরিবারের জন্য চিঠি লিখে যাচ্ছেন। যদিও ফিলিপস তার লেখা বইটিতে এমন কিছু উল্লেখ করেননি; শুধু বলেছিলেন লাইফবোটে থাকাকালে পরিবারের জন্য প্রার্থনা করতেন তিনি।
সিনেমায় ক্যাপ্টেনকে দেড় দিনের মতো জিম্মি দেখানো হলেও বাস্তবে অন্তত পাঁচদিন তাকে লাইফবোটে রেখেছিল জলদস্যুরা।
বাস্তব আর রুপালি পর্দার মাঝে এসব অসামঞ্জস্যতা থাকলেও টম হ্যাঙ্কসের অভিনয়কে ‘সেরা’ বলতে দ্বিধা করেননি দর্শকরা। তবে সিনেমায় পার্শ্ব অভিনেতার চরিত্রে বারখাদ আবদি প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। আবদুখাদির মুসে চরিত্রে কাজ করেছেন বারখাদ আবদি। জাহাজ দখল করার পর বন্দুক দেখিয়ে তার সংলাপ ছিল, “আমি এখন এই জাহাজের ক্যাপ্টেন।”
ক্যাপ্টেন ফিলিপস দিয়েই প্রথম সিনেমায় আসেন আবদি। এতে কাজ করে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৬৫ হাজার ডলার। সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য দ্য ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে। এছাড়া আরও পাঁচটি শাখায় মনোনয়ন পেলেও সেসবে অস্কার ছাড়াই ফিরেছিল ব্যবসা সফল সিনেমা ক্যাপ্টেন ফিলিপস। অবশ্য একই বছর দ্য রাইটারস গিল্ড অফ আমেরিকা অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট এডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লে পুরস্কার পেয়েছিল এই সিনেমা।
টান টান উত্তেজনা, দুর্ধর্ষ মারপিট আর রক্তপাত নিয়ে দুই ঘণ্টা ১৩ মিনিটের এই সিনেমা রটেন টমেটোতে টমেটোমিটার রেটিং পেয়েছে ৮.৩/১০। আর দর্শকের ভোটে রেটিং পেয়েছে ৪.২/৫ ।
এমভি আবদুল্লাহ: জলদস্যু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি
২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সোমালি উপকূলে জলদস্যুদের আক্রমণ কমে আসতে দেখা গেছে; আর ২০১১ সালে ১৬০টি আক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়; ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ৩৫৮টি। এরপর সাগরে হামলা ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ জোরদার করার কারণে এসব উপদ্রব কমতে থাকে।
তবে গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হামাস–ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাব পড়ে সাগরেও। ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে ওঠে। গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার জবাবেই জাহাজে হামলা চালানো শুরু করে ইয়েমেনের সাদা শহরের শিয়া ইসলামপন্থী রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন হুতি।
শুরুতে ইসরায়েলের জাহাজ মূল লক্ষ্য হলেও আরব সাগরসহ বিভিন্ন জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করছে হুতিরা। এতে বিভিন্ন জাহাজ গতিপথ পরিবর্তন করছে; যার সুযোগ নিচ্ছে সোমালি জলদস্যুরা।
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে শেষ রক্ষা পায়নি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিও।
মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪। ভারত মহাসাগরের বুকে এমভি আবদুল্লাহ তখন সোমালিয়ার মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে; দক্ষিণ আফ্রিকার মুজাম্বিকের মাফুতু বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজটি শারজার হামারিয়া বন্দরের দিকে চলেছে।
বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জলদস্যুরা। জাহাজের নাবিকরা ওই সময় স্বজনদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার পর জলদস্যুরা সবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
জাহাজটি দখলের পর তিন দিনের মাথায় এটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে গিয়েছিল জলদস্যুরা। দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটি গত ১৫ মার্চ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করেছিল। এরপর আবার স্থান পরিবর্তন করে উপকূলের একেবারে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমালিয়ার উপকূলে নোঙর করার পর দস্যুদের আরও ৪০-৫০ জনের একটি দল জিম্মি করা ওই জাহাজে ওঠে। তারা একটি কেবিনে নাবিকদের বন্দি করে রাখে।
৯ দিনের মাথায় মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা । অনেক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, সোমালি জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে।
শুরুতে জানা গিয়েছিল জলদস্যুরা বন্দিদের খাবারদাবার দিলেও পরিমাণমতো দিচ্ছে না। জাহাজে ২৫ দিনের খাবার মজুদ ছিল। ১৮ দিন পার হওয়ার পর জলদস্যুরা তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল নিয়ে আসে। এরমধ্যে ছাগলের মাংস দিয়ে তেহারি বানিয়েও বন্দিদের খাইয়েছে তারা।
মালিকপক্ষের সঙ্গে মুক্তিপণ নিয়ে আলোচনা ‘সফল হওয়ার দিকে’ বলেই কি বন্দিদের প্রতি নমনীয় হচ্ছে জলদস্যুরা?
জিম্মি হওয়ার সময় জাহাজে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল; যা চলতে পারে এক মাস পর্যন্ত। এখন পানি বাঁচাতে রেশনিং করে চলতে হচ্ছে জাহাজে। শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকেরা।
এক যুগেরও বেশি সময় আগে, ২০১০ সালে কবির গ্রুপের কোম্পানি এস আর শিপিংয়ের জাহাজ জাহান মনি ছিনতাই করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। তখন মুক্তিপণ দিয়ে ৯৯ দিন পর সেই জাহাজ ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল।
সোমালি সাগর ডাকাতের কবলে এমভি আবদুল্লাহ ২০ দিনেরও বেশি পার করেছে। ‘দ্রুত মুক্ত’ করতে ‘সব ধরনের প্রচেষ্টা’ চালানো হলেও ঈদের আগে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের মুক্তি এখনও সংশয়ে।