সাদা বালির সৈকত, আটলান্টিক মহাসাগরের নয়নাভিরাম দৃশ্য এবং সেলিব্রিটিদের উন্মুক্ত শরীর—বরাবরের মতোই আবেদনময়ী ছবি নিয়ে ২০২৫ সালের বিখ্যাত পিরেলি ক্যালেন্ডার প্রকাশ হয়েছে।
ইতালির টায়ার প্রস্তুতকারক কোম্পানি পিরেলি এর অর্থের জোগান দাতা। বিনোদন, ফ্যাশন, লাইফস্টাইল তো বটেই সারা বিশ্বেই এটি ‘দ্য ক্যাল’ হিসেবে পরিচিত।
আইকনিক ক্যালের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। মূলত নিজেদের ডিলারদের উপহার হিসেবে দেয়ার জন্য পিরেলি এটিকে বিপণন কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিল। তবে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ‘দ্য ক্যাল’ বেশ সাড়া ফেলে। আর এর পেছনে ছিল একটি দুষ্টু সাইকোলজি।
সেই দুষ্টু সাইকোলজি থেকে উদ্ভুত একটি ক্যালেন্ডার কীভাবে শৈল্পিক মানদণ্ডের জায়গায় রাতারাতি বনেদি হয়ে গেল? এই প্রশ্নের জবাব, দেওয়ার আগে ২০২৫ সালের পিরেলি ক্যালেন্ডারের একটি ছোট বর্ণনা দেয়া যাক।
পিরেলির সামনের বছরের সংখ্যা
২০২৫ সালের এই সবশেষ সংস্করণের ছবি তুলেছেন নিউ ইয়র্কের ফটোগ্রাফার ইথান জেমস গ্রিন। তার ক্যামেরার লেন্সে এবার সৈকতে ধরা দিয়েছেন- আমেরিকান অভিনেত্রী ও মডেল হান্টার শ্যাফার, ব্রিটিশ অভিনেতা ও মডেল জন বোয়েগা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী সিমন অ্যাশলে, মডেল ও ইলাস্ট্রেটর কনি ফ্লেমিং, শিল্পী মার্টিন গুটিয়েরেজ মডেল জেনি শিমিজু এবং কোরিয়ান মডেল হো্ইওয়েন জাং।
ক্যালেন্ডারের শিরোনাম ‘রিফ্রেশ অ্যান্ড রিভিল’। ক্যালেন্ডারের এই ৫১ তম সংস্করণেও মডেলদের নগ্নতাকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আর তাদের স্বল্প বসনের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে সৈকতে পশু-পাখির খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ বস্তুকে। সমুদ্রের জলে এবং ডাঙায় ফটোশুট হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিচে এবার ‘রিফ্রেশ ও রিভিল’ থিমে এর ফটোশুট করা হয়।
‘দুষ্টু’ পিরেলি ক্যালেন্ডারের ইতিহাস
১৯৬০ দশকের শুরুর দিকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যৌনতার পুরনো নিয়মগুলো ভেঙে পড়ছিল। বিনোদন, সিনেমা ও ফ্যাশন জগতে চলছিল নানা পরীক্ষা। সাহস এবং স্বাধীনতার চর্চা থেকে জন্ম হচ্ছিল নতুন নতুন আর্ট ফর্মের। ঠিক সেই সময়েই পিরেলি ক্যালেন্ডারের আবির্ভাব। তবে বিক্রির জন্য নয়!
১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশ হওয়া ক্যালেন্ডারটির ফটো শুট করেছিলেন রবার্ট ফ্রিম্যান নামে একজন তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল ফটোগ্রাফার। রবার্ট বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলস- এর ফটোগ্রাফার এবং এর সদস্যদের বন্ধুও ছিলেন।
লন্ডনের জমজমাট পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত রবার্ট সেই সময়ের ট্রেন্ডি লুকের মডেলদের বেছে নেন, তাদের নিয়ে যান স্পেনের মারজোরকার বালুকাময় সৈকতে। সাধারণ মানুষের কাছে শুটিং লোকেশন ছিল অনেকটা স্বপ্নের মতো।
প্রথমবারের সেই ফটো শুটে মডেলদের চেহারায় নির্মল এবং আনন্দময় স্বভাব ফুটিয়ে তোলেন রবার্ট। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সত্যিকার অর্থেই একটি অন্যরকম ক্যালেন্ডারের যাত্রা শুরু হয়।
এই ক্যালেন্ডারের জন্য ক্যামেরার সামনে প্রথম শটটি দেন ইংল্যান্ডের মডেল জেন লাম্ব।
তবে, সত্যিকার অর্থে এই ক্যালেন্ডারের পেছনে যার মাথা কাজ করেছে তার নাম ডেরেক ফোরসিথ। পিরেলির যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞাপন এবং প্রচারের মূল দায়িত্বে ছিলেন। কীভাবে এল তার মাথায় এ ক্যালেন্ডারের আইডিয়া?
ব্রিটিশ গাড়ি কোম্পানি লেল্যান্ড ১৯৩০ সালে একটি লেল্যান্ড লেডিস ক্যালেন্ডার চালু করেছিল। ব্রেক প্রস্তুতকারক কোম্পানি মিন্টেক্স ১৯৫৬ সালে এটি অনুসরণ করেছিল।
পিরেলি যখন নিজস্ব সংস্করণ তৈরি করতে চেয়েছিল, তখন নারী শরীরের খোলামেলা ছবি নিয়ে ‘গার্লি’ নামে প্রচলিত এসব ক্যালেন্ডারগুলো মোটর শ্রমিক ও ডিলারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিল। তারা এ ধরনের যৌনাবেদনময়ী ক্যালেন্ডার পছন্দ করতেন।
পণ্য প্রচারণার এই ক্যালেন্ডারগুলো পুরুষের কামভাব জাগ্রত করার করার উদ্দেশেই তৈরি করা হতো। অশ্লীলতার কারণে শো-রুমে না ঝুলিয়ে এগুলোকে ব্যাকরুম বা লকারে পিন আপ করার জন্য ডিজাইন করা হতো।
ক্যালেন্ডারগুলো যেন শো-রুমে ঝুলিয়ে রাখা যায়, সেই শৈল্পিক জায়গাটা তৈরির চেষ্টা করলেন ডেরেক ফোরসিথ। একইসঙ্গে এসব ক্যালেন্ডারের ছবিতে যেন যৌনাবেদন হারিয়ে না যায়, সেটিও তাকে খেয়াল রাখতে হয়েছে।
ফোরসিথ এ ধরনের একটি ক্যালেন্ডারের জন্য ১৯৬৩ সালে ভোগের ফটোগ্রাফার টেরেন্স ডোনোভানকে কোম্পানির ১২টি রপ্তানি অঞ্চলের জন্য এক ডজন মডেলের ছবি তোলার জন্য কমিশন করেন। আইডিয়াটি ছিল, পিরেলির যন্ত্রাংশ লাগানো যানবাহনের পাশে পোজ দিয়ে মডেলরা ছবি তুলবেন। তবে ওই ক্যালেন্ডারটি আলোর মুখ দেখেনি। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বাতিল করে দেয়।
কেন এতো এক্সক্লুসিভ হার্ড কপির ‘দ্য ক্যাল’
বিপণন কৌশল হিসেবে উপহার দেয়ার জন্য তৈরি হওয়ায় শুরু থেকেই পিরেলি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হত না। বিশেষভাবে কোম্পানির ক্লায়েন্ট ও সহযোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে এই ক্যালেন্ডার যেত। ফটোশুটের জন্য দুর্দান্ত লোকেশন, সেরা তারকা ও মডেল এবং নগ্নতার মিশেল পিরেলিকে আলোচনায় নিয়ে আসে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই ক্যালেন্ডারের ফটোগ্রাফি।
সাধারণত বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফাররাই পিরেলি ক্যালেন্ডারের জন্য শুট করেন। সেই হিসেবে পিরেলি ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মও বটে। এখানে তারা তাদের সৃজনশীল ধারণাগুলোকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরার সুযোগ পান। হেলমুট নিউটন, অ্যানি লেবোভিৎজ, স্টিভেন মাইজেল, এবং মারিও টেস্টিনো-এর মতো কিংবদন্তি ফটোগ্রাফাররা এই ক্যালেন্ডারের জন্য কাজ করেছেন।
৯০ দশকে হার্ব রিটস, পিটার লিন্ডবার্গ , ব্রুস ওয়েবার, এবং রিচার্ড অ্যাভেডন এর মতো জনপ্রিয় ফটোগ্রাফাররা পিরেলির জন্য শুট করেছেন।
পিরেলি ক্যালেন্ডার ২০ থেকে ৩০, বড়জোর ৪০ হাজার কপি ছাপা হয়। আর্ট পিস হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই ক্যালেন্ডারটি পৌঁছায় সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোর কাছেও। ব্রিটিশ রাজ পরিবার, স্পেনের রাজপরিবার থেকে শুরু করে মাইক্রোসফটের সিইও বিল গেটস, ফেইসবুকের সিইও জাকারবার্গ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ‘দ্য ক্যাল’ এর হার্ডকপি পান। এটি সংগ্রহ দুরূহ এই কারণে যে, প্রত্যেক দেশের জন্য বরাদ্দ করা কপির পরিমাণ খুব বেশি থাকে না। যেমন- ৪০ হাজার কপি ছাপা হলে যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো ২ হাজার লোক এর কপি পান সৌজন্য হিসেবে।
বিভিন্ন সময়ে ‘দ্য ক্যাল’ মডেল তালিকায় অভিনেতা-অভিনেত্রী তো বটেই রয়েছেন অন্যান্য যেমন স্পোর্টস, চিত্রশিল্পী ইত্যাদি অঙ্গনের তারকারাও স্থান পেয়েছেন।
সোফিয়া লরেন, গিগি হাদিদ, নাওমি ক্যাম্পবেল, সিন্ডি ক্রফোর্ড, কেট মস, জিজেল বান্ডচেন, পেনেলোপি ক্রুজ, উমা থারম্যানের, জেনিফার লোপেজ, অ্যানাহা লিমা, এমা ওয়াটসন, হেলেন মিরেন, নাতালি ভোডিয়ানোভা, বিয়ান্সে, লিনা ওদো- এতসব তারকাদের নাম জড়িয়ে আছে পিরেলির মডেল তালিকায়।
পুরুষ তারকারাও এর মডেল হয়েছেন। মার্ক ওয়ালবার্গ, ফুটবলার ডেভিড বেকহাম, অভিনেতা ম্যাট ডেমন, অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা হিউ জ্যাকম্যান, অ্যাথলেইট কনর ম্যাকগ্রেগর, স্প্রিন্টার কার্ল লুইস- এরকম কিছু বিখ্যাত নাম।
পিরেলি ক্যালেন্ডার নিয়ে আরও কিছু তথ্য
টায়ার কোম্পানি পিরেলির অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়াসহ জ্বালানি সংকট এবং শ্রমিক আন্দোলনের কারণে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত মোট ৯ বছর বন্ধ ছিল ক্যালেন্ডারটি বন্ধ ছিল। পিরেলি ক্যালেন্ডারের ইতিহাসের দ্বিতীয় ধাপটি শুরু হয় ১৯৮৪ সালে। নুডিটির মাত্রাটি এই ধাপেই বাড়ন্ত হয়।
আগের এক দশকে অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত মডেলদের যৌনাবেদনময়ী ছবি প্রকাশ হলেও পুরো নগ্নতা ছিল অনুপস্থিত। দ্বিতীয় ধাপে দ্য ক্যালে যুক্ত হলো নগ্ন নারীর ছবি।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই ক্যালেন্ডারের বাঁক বদল-
১৯৭২ সালে ফ্রেঞ্চ সারা মুন প্রথম নারী ফটোগ্রাফার হিসেবে পিরেলির ফটোশুট করেন। শুট হয় প্যারিসের বাইরে একটি ভিলায়।
১৯৮৭ সালে ইংরেজ ফটোগ্রাফার টেরেন্স ডোনোভান পিরেলি ক্যালেন্ডারে প্রথমবারের মতো সব কৃষাঙ্গ মডেল ব্যবহার করেন। এই ইস্যুতে নাওমি ক্যাম্পবেলেরে ছবিও ছিল। তিনি তখন উঠতি অভিনেত্রী, বয়স মাত্র ১৬ বছর।
১৯৮৮ সালের ক্যালেন্ডারে প্রথমবারের মতো হুগো ব্রেগমেন নামের এক পুরুষ মডেল এই ক্যালেন্ডারের ছবিতে আসেন। তবে তার চেহারা দেখা যায়নি। সেই বছর ফটোশুট করেছিলেন ফটোগ্রাফার ব্যারি লেগান।
১৯৯০ দশকে আধিপত্য বিস্তারকারী ৬ সুপার মডেল ছিলেন লিন্ডা ইভাঞ্জেলিস্টা, ক্লডিয়া শিফার, নাওমি ক্যাম্পবেল, সিন্ডি ক্রফোর্ড, ক্রিস্টি টার্লিংটন এবং কেট মস । এদের ৫ জনই পিরেলির ফটোশুটের মডেল ছিলেন।
১৯৯৫ সাল আভিজাত্যের তালিকায় ঠাঁই পাওয়া এ ক্যালেন্ডারটির আরেকটি বাঁক বদল ঘটে। নারী মুক্তি ও নারী স্বাধীনতার থিম নিয়ে তারা এগোতে থাকে। এমনকি প্রাধান্য দেয়া হয় পুরুষের আকর্ষণীয় শরীরকেও, নারী সম্ভোগের দৃষ্টিকোণ থেকে।
আর ২০০৯ সাল থেকে বৈশ্বিক নানা ইস্যুও পিরেলির থিমে জায়গা করে নেয়। এই সময় পিরেলি সৌন্দর্যের বৈশ্বিক ধারণা ভাঙতে থাকে তার ক্যালেন্ডারের ছবি দিয়ে। সৌন্দর্যের নতুন নতুন ধরন ও দৃষ্টিভঙ্গি ক্যালেন্ডার প্রকাশের পর থেকেই ট্রেন্ডে পরিণত হতে থাকে।
২০১৬ সালে ফটোগ্রাফার অ্যানি লেইবোভিটজ তার মডেল বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় একটি আমূল পরিবর্তন আনেন। তিনি প্রথম সৌন্দর্যের ধারণা থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে শিল্প, বিনোদন ও স্পোর্টসে প্রভাবশালী নারীদের নিয়ে ফটোশুট করে ‘দ্য ক্যাল’ বের করেন। এই ইস্যুটি ছিল নগ্নতার বাইরে নারীর অন্তরের সৌন্দর্য দেখানোর একটি প্রয়াস। যৌনাবেদন থেকে পুরোপুরি ভাবে সরে এসে ক্যালেন্ডারের মডেলদের উপস্থাপন করা হয়েছিল একেবারে মেকাপবিহীনভাবে নিজস্ব সাধারণ চেহারায়।
২০১৮ সালের ক্যালেন্ডারেও ছিল বিশাল চমক। এ বছর পিরেলি ক্যালেন্ডার তার ভিজ্যুয়াল এবং থিমের জায়গায় সর্বোচ্চ মুন্সিয়ানা দেখায়। ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ চিত্রিত করা হয়েছিল সব কৃষ্ণাঙ্গ মডেল দিয়ে।
পিরেলির পেছনে কত খরচ?
এ সম্পর্কে তেমন সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। তবে, ২০ হাজার কপি একটি পিরেলি ক্যালেন্ডারের পেছনে ২০ লাখ ডলার (২৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ) এর মতো বাজেট থাকে। যেহেতু এটি কেনার জন্য তৈরি হয়নি, তাই সুনির্দিষ্ট করে এটি সংগ্রহের জন্য কত অর্থ খসবে তাও বলা যায় না। অনেকে কালেকশনের জন্য পিরেলি ক্যালেন্ডার কেনেন নিলামের ওয়েবসাইট থেকে। সবচেয়ে সহজলভ্য এডিশনও ১০০ ডলারে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে ফটোগ্রাফার এর নাম ও নির্দিষ্ট সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এক একটি ক্যালেন্ডারের দাম ২ হাজার ডলারে গিয়ে ঠেকেছে।
ফোর্বসের ২০১৩ সালের একটি সংখ্যায় পিরেলি গ্লোবাল কো অর্ডিনেটর জিয়াওচিনো ডেল বালজো বলেছিলেন, পিরেলি কোনও ক্যালেন্ডারের পেছনে ১০ লাখ ডলার খরচ করলে, সেটি ব্র্যান্ডভ্যালু পায় ৬ কোটি ডলারের কাছাকাছি। কেননা, মিডিয়া ঝাপিয়ে পড়ে পিরেলির দেখানো পথে।
তবে শৈল্পিক মানদণ্ডে উৎকর্ষতা শিখরে পৌঁছেও ‘দ্য ক্যাল’ শেষ পর্যন্ত দুষ্টু ক্যালেন্ডারের তকমা এড়াতে পারেনি। অনেকের কাছেই এটি এখনও ‘অভিজাতদের সফটকোর পর্নোপত্রিকা’, যেখানে নারীকে কোনও না কোনওভাবে পণ্য আকারেই হাজির করা হচ্ছে। আর হ্যা এটা যেহেতু ক্যালেন্ডার, সেহেতু সাধারণ ক্যালেন্ডারের মতোই এতে সব তারিখ, বার, বিশেষ দিবস ইত্যাদি থাকে।