Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ব্রাজিলে বিমান বিধ্বস্ত, ৬১ আরোহীর সবাই নিহত

বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি : বিবিসি
বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি : বিবিসি
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানে থাকা ৬১ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে।

ভোয়েপাস এয়ারলাইনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট টার্বোপ্রপ বিমানটি ব্রাজিলে দক্ষিণাঞ্চলের পারানার কাসকাভেল থেকে সাও পাওলো শহরের গুয়ারুহোস বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। পথে বিমানটি ভিনহেডো শহরে বিধ্বস্ত হয়।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি বিমান পাক খেতে খেতে সোজা নিচের দিকে নামছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের বিমানটিতে ৫৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তবে তাদের কেউই বেঁচে নেই।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা নিহতদের পরিবার-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

সাও পাওলোর গভর্নর টার্সিসিও গোমেস দে ফ্রেইটাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। ফরাসি-ইতালীয় বিমান নির্মাতা এটিআর জানিয়েছে, তারা তদন্তে সহযোগিতা করবে।

বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হলেও মাটিতে থাকা কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় একটি কনডোমিনিয়াম কমপ্লেক্সের মাত্র একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভিডিওতে ঘরবাড়িতে পূর্ণ একটি এলাকায় ব্যাপক আগুন এবং ধোঁয়া ও ধ্বংসস্তূপের ছবি দেখা গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে রয়েছে।

আকাশে চলাচলরত বিমানে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইটরাডার২৪’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে কাসকাভেল থেকে উড়াল দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিমানটি থেকে শেষবারের মতো সংকেত পাওয়া যায়।

ব্রাজিলের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা জানিয়েছে, ২০১০ সালে নির্মিত বিমানটি “ভালো অবস্থায় ছিল, এর নিবন্ধন ও আকাশে চলাচলের বৈধ সনদ ছিল।”

তারা আরও জানায়, দুর্ঘটনার সময় বিমানে থাকা চারজন ক্রু সদস্যের সব ধরনের লাইসেন্স ও যোগ্যতা ছিল।

কাসকাভেলের ইউওপেকান ক্যান্সার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবিসি ব্রাজিলকে জানায়, নিহত যাত্রীদের মধ্যে তাদের দুইজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকও ছিলেন।

যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা ফেলিপে মাগালহেইস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “বিমানটি পড়ার শব্দ শুনে আমি আমার ঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই, আর তখনই বিমানটি বিধ্বস্ত হতে দেখি।” এই দৃশ্য তাকে “ভীত” করে তুলেছিল বলেও জানান এই প্রত্যক্ষদর্শী।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা নথালি সিকারি সিএনএন ব্রাজিলকে বলেন, তিনি দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আর এর মধ্যেই তিনি “খুব কাছাকাছি কোনও জায়গা থেকে আসা প্রচণ্ড শব্দ” শুনতে পান। তিনি জানান, এই শব্দের ধরন ছিল অনেকটা ড্রোনের শব্দের মতো, তবে শব্দের মাত্রা ছিল অনেক বেশি।

“আমি বারান্দায় গিয়ে দেখি বিমানটি পাক খাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বুঝতে পারি, এই পরিস্থিতি একটি বিমানের জন্য স্বাভাবিক নয়।”

২০০৭ সালের পর এটিই ব্রাজিলের সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা। এর আগে ২০০৭ সালে একটি ট্যাম এক্সপ্রেস বিমান সাও পাওলোর কংগোনহাস বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে গেলে নিহত হয় ১৯৯ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত