বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করতে জাপান আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রবিবার পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আশ্বাস দেন। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
এক বিজ্ঞপ্তিতে উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বাংলাদেশে তাদের অংশীদারত্বে চলমান প্রকল্পসমূহ সম্পন্ন ও ভবিষ্যতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আশ্বাস দিয়েছেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এই অন্তর্বর্তী সময়েও আমরা প্রকল্পসমূহের কাজ অব্যাহত রেখেছি এবং যথাসময়ে বাংলাদেশ সরকারের নিকট বুঝিয়ে দিতে পারব বলে আশা করি।”
বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, জাপান সবসময়ই বাংলাদেশের ভালো বন্ধু ও বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।
এসময় কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রেও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশিদের জাপানে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি প্রদান অব্যাহত রাখারও প্রতিশ্রুতি দেন বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
ইউএনডিপিকে উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনা উপদেষ্টার
জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপিকে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র বিমোচনবান্ধব উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রবিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, “আমরা মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) অর্জনে যেমন সফলতা পেয়েছিলাম, তেমনি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) অর্জনেও সফল হতে চাই।”
ইউএনডিপি প্রতিনিধিকে উপদেষ্টা বলেন, “কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি ত্বরান্বিত করতে চাই। এজন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিলকে (ইউএনডিপি) বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বৈঠকে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, “আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, নির্বাচন, পোশাক শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছি। সামনের দিনগুলোতে এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”