Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

বরই বনাম খেজুর সমাচার

ছবি: ফুড নেটওয়ার্ক ডটকম
ছবি: ফুড নেটওয়ার্ক ডটকম
Picture of আইরিন সুলতানা

আইরিন সুলতানা

বরই আর কুল আসলে একই ফলের দুই নাম। ফলটি একটু গোলাকার হলে কুল ডাকা হয়। বরই ভর্তা, বরই আচার আমাদের জিভে জল আনে। স্বাদে মজাদার বরই ফলে এবার একটু বেশি আলো পড়লো মন্ত্রীর কথার রেশ ধরে।

তারপরই উঠলো প্রশ্ন, তাহলে রোজার এই মাসে ইফতারে কোনটি সুপার ফুড হবে- বরই নাকি খেজুর?

খেজুর-বরই রাজনীতি

গত ৪ মার্চ রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, “বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন?

“আঙুর-খেজুর লাগবে কেন? আপেল লাগবে কেন? আর কিছু নেই আমাদের দেশে? পেয়ারা দেন না, সব কিছু দেন। প্লেটটা ওভাবে সাজান।”


মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পর সোশাল মিডিয়াতে এই নিয়ে আলাপ শুরু হয়। এরমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে  সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, “খালি পেটে একজন মানুষ বড়ই খেলে মারাও যেতে পারে। এমনই একটা ফল বরই।

“খালি পেটে খেলে কী যে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে, এটা মন্ত্রী জানবেন না। জানবেন না এ কারণে যে উনারা তো সব সময় খেজুর, আঙুরসহ বিভিন্ন দামি ফল-ফ্রুট দিয়ে ইফতার করে থাকেন।”

সমালোচনার ধারাবাহিকতায় একে একে যোগ দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়াসহ আরও অনেক রাজনীতিবিদ।

বক্তব্য ভুল ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে জানিয়ে পরে অবশ্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন,  “খেজুরের পরিবর্তে নয়, আমি খেজুরের সঙ্গে বরই খাওয়ার কথা বলেছিলাম।”

দেশে বরই চাষে বিপ্লব

‘নাতিন বরই খা, বরই খা হাতে লইয়া নুন …’; চাটগাঁইয়া লোকজ গান বলে দেয় বরই আমাদের গ্রাম-বাংলায় হরেদরে পাওয়া ফল।

রাজধানীতে বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে ওঠার আগে এক তলা-দোতলা বাড়ির সামনে অন্তত একটা দেশি জাতের বরই গাছ থাকতই।  

গ্রাম থেকে শহরে ঢিল ছুঁড়ে বরই কুড়ানো ছেলেবেলা কেটেছে এক প্রজন্মের।

স্কুলের সামনে ছুটির সময় আচারওয়ালা বসতো; কয়েক পদের আচারের মধ্যে থাকতো বরই বা কুলের আচারও।

এক সময় উঠানে অনাদরেও বেড়ে উঠত বরই গাছ। যদিও বরই চাষ এখন লাভজনক। সেই সঙ্গে নানা জাতের বরই ওঠে এখন বাজারে। বাড়ির কাছের বাজারে গেলে অন্তত চার রকম দেখতে বরই মিলবেই। কোনওটার ডগার দিকটা টকটকে হলুদ-কমলা, কোনওটার আকার আস্ত আপেলের চেয়ে কম নয়। আর এসব বরই স্বাদে বেশ মিষ্টি ও রসালো হওয়াতে এখন আর নুন হাতে টক বরই খেতে হবে না।  

ভারত সুন্দরী, কাশ্মীরি বলসুন্দরী, থাই, আপেল ও নারকেল জাতের বরই চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরও স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে।

যেমন, দেশে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় বরই চাষে ভালো সাফল্য মিলেছে। মাটি উপযোগী হওয়াতে ঝালকাঠি জেলায় আপেল কুল, বাওকুল, বল সুন্দরী, নারিকেল সুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই টকসহ অন্তত ৮ জাতের বরই চাষ হচ্ছে।

বারি কুল-১, বারি কুল-২, আপেল কুল, বাউকুল-১ নামেও এই ফল চেনেন বরই চাষীরা।

বরই কেন খাবেন?  

কাশি-কফ হলে বরই খেতে বারণ- অনেকেই শুনেছেন ছোটবেলায়। অথচ বরই মওসুমি জ্বর, ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি উপশমে কাজ করে। এমনকি ব্রঙ্কাইটিস নিরাময়েও বরই ফলের গুণ রয়েছে।

কোভিড রোগীরা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে দ্রুত সেরে উঠতে শরীরে ভিটামিন সি জোগানের গুরুত্ব নিয়ে জানবেন। যারা রক্তশূন্যতা পূরণে লোহা জাতীয় খাবার খান বা সাপ্লিমেন্ট নেন, তাদের পাশাপাশি আবশ্যিকভাবে ভিটামিন সি খেতে বলা হয়; তাতে শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা বাড়ে। বরইয়ে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ভিটামিন সি কমে গেলে ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বরই এসব সমস্যা দূর করবে।

বরই ফলে নাইট্রিক এসিড আছে; যা রক্ত কণিকা সুস্থ রাখে। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন রাড়ে এবং রক্ত বিশুদ্ধ থাকে। বরই রক্তশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

এই ফলে আছে ফাইটো কনস্টিটিউয়েন্ট। এ ধরনের ফাইটো কেমিকেল হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তারা বরই খেতে পারেন।

পুষ্টিকর বরই ফলে পানি ও আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে এই ফলে ক্যালরি থাকে কম। এতে আঁশ থাকে প্রায় ১০ শতাংশ; ৮০ শতাংশই হচ্ছে জলীয় অংশ। চর্বি বা ফ্যাট নেই একেবারে। তাই বরই খেলে ওজন বাড়ার সমস্যাও মিটবে।

স্বাদে মিষ্টি বরই কি ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারবে?   

একদম খালি পেটে বরই খেলে হুট করে শরীরে শর্করার সরবরাহ বেড়ে যেতে পারে, তাই বিশেষ করে ইফতারে বরই মুখে রোজা ভাঙা এড়ানো যেতে পারে। পেটে অন্য কিছু দিয়ে ধাপে ধাপে অন্য খাবারের মাঝে বরই খেতে পারেন। তবে বরই কিন্তু টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বরই খাওয়া খুব উপকারী।

সৌন্দর্য সচেতন নারীরা বরই খেয়ে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন। অবশ্য পুরুষেরও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই বরই খেতে হবে নারী ও পুরুষ উভয়কেই। কারণ এই ফলে থাকা পর্যাপ্ত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বক টান টান ও সতেজ রাখে।

রোজা রেখে অনেকের মুখে রুচি কমে যেতে পারে। বরই খেলে মুখের রুচি ফিরবে। এই ফলে প্রাকৃতিক পেকটিন থাকায় পেটের গণ্ডগোল মিটবে এবং হজম শক্তি বাড়বে। বয়স্করা আগে বলতেন, দুই থেকে তিন গ্রাম শুকনো বরই ও গোল মরিচের গুঁড়ার সাথে সৈন্ধব লবণ বা পিংক সল্ট এবং চিনি মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা এবং অরুচি সারবে।  আর মুখে রুচি থাকলে এবং পেট ভালো থাকলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।  

বরই ফলের রস দিয়ে ক্যানসাররোধী ওষুধ বানানোর গবেষণা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, শরীরে ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ, লিউকেমিয়ার ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এই ফল।

দেশে বিশেষ করে নারীরা হাড়ের সমস্যা বা অস্টিওপোরোসিসে ভুগে থাকেন। বরই খাওয়ার অভ্যাস অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারে।

এছাড়া বাজারে সহজলভ্য এই বরই ফলে রয়েছে শরীরের জন্য জরুরি ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং অন্যান্য খনিজ।

বরই ফলে থাকা ক্যালসিয়াম ভালো রাখবে দাঁত ও হাড়। বরই ফলের পটাশিয়াম পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখবে। এই ফলের ফ্ল্যাভেনয়েড লিভার সুস্থ রাখে।  

বরই অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া সমস্যা কাটাতে সহায়ক। বরই ফলের স্যাপোনিন মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়াতে কাজে দেয়। আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য বরই উপকারী।

১০০ গ্রাম বরই ফলে আছে১০০ গ্রাম খেজুরে আছে
চর্বি নেই
দৈনিক চাহিদার ৭৭ শতাংশ ভিটামিন সি
দৈনিক চাহিদার ৫ ভাগ পটাশিয়াম
১০ গ্রাম আঁশ বা ফাইবার
৭৯ গ্রাম ক্যালরি
১ গ্রাম প্রোটিন
২০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
৭০ আই. ইউ. ক্যারোটিন

শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম কোলেস্টেরল ও চর্বি
দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ পটাশিয়াম
৩ দশমিক ৯ গ্রাম থেকে ৭ গ্রাম আঁশ
৩২৪ কিলোক্যালরি
০.০৯ গ্রাম আয়রন
৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
২ গ্রাম প্রোটিন
দৈনিক চাহিদার ১৩ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম
দৈনিক চাহিদার ৪০ শতাংশ কপার
দৈনিক চাহিদার ১৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ
দৈনিক চাহিদার ৫ শতাংশ আয়রন 
দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ ভিটামিন বি৬

আরবের ফল খেজুর

খেজুর ফলের আদি স্থান ইরাক অথবা মিসর।  মরুভূমি এলাকায় অন্য কোনো গাছের চেয়ে খেজুর বাগান করা অনেক সহজ। সহজলভ্য বলে রোজার মাসে আরব অঞ্চলে ইফতারে খেজুর তাই প্রথা হয়ে ওঠে।

দেশের বাজারে ২৮ রকমের খেজুর মেলে; যা আসে ২০টি দেশ থেকে। তবে দেশে চাহিদার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ খেজুরই আমদানি করা হয় ইরাক থেকে।

সারা বছরে খেজুর কেনার  যে চাহিদা থাকে তার চেয়ে তিন থেকে চারগুণ চাহিদা বেড়ে যায় রোজার মাসে। যদি রোজায় খেজুরের চাহিদা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টন হয়, তাহলে বছরের অন্যান্য মাসে এই চাহিদা থাকে ৫ থেকে ১০ হাজার টনের মতো।

দেশে আজওয়া খেজুরের দাম একটু বেশি দেখা সময় সব সময়। তবে আকারে ছোট ও গাঢ় রঙের এই খেজুর খেতে নরম ও সুস্বাদু। সেই তুলনায় মরিয়ম খেজুর কিছু কমে মেলে এখানে।

বাংলাদেশে ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশালসহ সারা দেশেই কম-বেশি খেজুর চাষ করা হয়। বলা হয়, অনেক খেজুর গাছ আছে বলে যশোরের এক এলাকার নাম খাজুরা হয়েছে। তবে দেশে এসব গাছ থেকে রস নামিয়ে গুড় বানানোই মূল চাহিদা। খাজুরা এলাকার বামনডাঙ্গা, তেজরোল, রাজাপুর গ্রামে খেজুরের গুড় উৎপাদনের সুনাম রয়েছে।

আরব খেজুর দেশে ফলানোর চেষ্টা অবশ্য শুরু হয়েছে। তবে বাজারের চাহিদা মেটানোর মতো উৎপাদন সক্ষমতা এখনও হয়নি।

টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় বরই

সুপার ফ্রুট খেজুর

ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ খেজুর চিনির বিকল্প হতে পারে। খেজুর ব্লেন্ড করে বাদাম মিশিয়ে জ্বাল নিয়ে ঘর করে বরফির মতো কেটে রাখা যায়। সহজ এই  ‘ডেট বার’ রেসিপি বেশ পুষ্টিকর।

সন্তানকে বুকের দুধ দিতে হয় এমন মায়ের জন্য খেজুর খাওয়া খুব উপকারী হবে। এতে ‍দুধের পুষ্টিগুণ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খেজুরের ক্যালসিয়াম মা ও শিশুর হাড়ের মজবুত গঠনেও কাজ করে।

ডায়াবেটিসের রোগীরা কি খেজুর খেতে পারবে?

খেজুরে থাকা ফাইবার ধীরে ধীরে শরীরের কার্বহাইড্রেট শোষণে কাজ করে। এতে করে রক্তে চিনি বা শর্করার মাত্রা হুট করে বেড়ে যায় না। তাই ডায়বেটিসের রোগীরা অনায়াসে দিনে এক থেকে দুটো খেজুর খেতে পারেন।

শীতের সময় খেজুর খেলে শরীর পর্যাপ্ত উষ্ণ থাকে। যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন, তারা একই সঙ্গে খেজুর খেলে উপকার পাবেন।

মওসুমী ফল খান

আয়ুর্বেদ বলে, কোনো অঞ্চলের মওসুমী রোগবালাই প্রতিরোধের গুণ থাকে ওই অঞ্চলে উৎপাদিত মওসুমী ফলে। এই পরামর্শ এখন দেশের পুষ্টিবিদরাও দিচ্ছেন।

প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আর চিকিৎসকের কাছে ছুটতে হবে না; এমন ইংরেজি প্রবাদ শুনেছি আমরা। পরে অবশ্য পুষ্টিবিদরা আপেলের বিকল্প দেখেছেন পেয়ারার মধ্যে। এরপর বলতে শোনা গেল, গরীবের আপেল হলো পেয়ারা।

এর একটি কারণ হচ্ছে, দেশে সব অঞ্চলেই পেয়ারা সহজলভ্য। গ্রামের বাড়িতে পেয়ারা গাছ থাকবেই। যারা ছাদ বাগান করেন, তারাও ড্রামে বা বড় টবে পেয়ারা গাছ লাগাতে ভোলেন না।

আপেলের তুলনায় কম দামের ফল পেয়ারা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। অনেকক্ষেত্রে বলা হয়, পুষ্টির বিচারে আপেল-কমলার চেয়ে বরং এগিয়ে থাকবে পেয়ারাই।

পুষ্টিবিদরা খাবার থালায় বিভিন্ন রঙের সমাবেশ রাখতে বলেন। তাই প্রতিদিন একই ফলই খেতে হবে এমন কোনো কথাও নেই।

বাজারে পাওয়া যায় সামর্থ্যের মধ্যে থাকা সব ধরনের ফলই মাঝে মাঝে খেয়ে দেখা যেতে পারে। এতে রুচি ভালো থাকে এবং রসনায় থাকে বৈচিত্র্য। তবে পুষ্টি এবং সামর্থের দিক বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যের জন্য দেশে উৎপাদিত ফল খাওয়া সুবিধাজনক অধিকাংশের বেলায়।

খেজুর দাম নিয়ে সিন্ডিকেট ঠেকাতে সরকার থেকে শেষ পর্যন্ত দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে; অতি সাধারণ বা নিম্নমানের খেজুরের দাম এখন প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা।

অন্যদিকে মিষ্টি স্বাদের এক কেজি বরই ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।  

খেজুর আমদানি করতে হয় বলে, এতে ফরমালিন মেশানোর অভিযোগও উঠেছিল কয়েক বছর আগে।

ইফতারে ভাজাপোড়া এড়িয়ে একটু ফলাহার জরুরি। তাই নিরাপদভাবে চাষকৃত এবং প্যাকেটজাত করা ফলই বেছে নিতে হবে সুস্থ থাকতে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত