ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে যা যা বলার দরকার তা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনও ধরনের সংকোচ করেননি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকালে ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী তা নিয়ে এখনও বিশ্লেষণ হয়নি বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনও বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার, কোনও কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।”
এর আগে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার সকাল ৭টায় ধানমণ্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে দলের অন্যান্য নেতারাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করাই আওয়ামী লীগের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।
“আমাদের দলের জন্মদিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে– আমাদের রক্তমূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করব। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বর্ণচোরা বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের নামে এই বর্ণচোরারা ভাঁওতাবাজি করে। সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শত্রু আজ আমাদের অভিন্ন শত্রু।”
এই সাম্প্রদায়িক অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়– এমন অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের অঙ্গীকার, আমাদের আজ শপথ– এই অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে এবং আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করব। এটাই আজকের দিনের শপথ।”
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি হয়েছিল জানিয়ে দলটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বলেন, “পলাশীতে ১৭৫৭ সালে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা।” বাসস।