ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে রবিবার শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আমন্ত্রণে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
ফ্লাইটটি বেলা ১২টায় (নয়া দিল্লির স্থানীয় সময়) নয়া দিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে অবতরণ করবে।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে একটি উচ্চ পর্যায়ের ভারতীয় প্রতিনিধিদল এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান অভ্যর্থনা জানাবেন।
নয়া দিল্লিতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী ভারতের রাষ্ট্রপতি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে যোগ দেবেন। এ ছাড়াও নয়া দিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকাল ৫টায় (নয়া দিল্লি সময়) পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে পৌঁছাবেন এবং ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ওইদিন রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময়) তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তার সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
সাত ধাপে অনুষ্ঠিত ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এ নির্বাচেনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ভারত’ জোট জয় পেয়েছে ২৩৪টি আসনে।
রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) বিজয়ে নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে, আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বহন করেন।”
ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) জানায়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বিজয় লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদী শেখ হাসিনার কাছ থেকে একটি অভিনন্দন টেলিফোন কল পান। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর শেখ হাসিনার উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য মোদী তাকে ধন্যবাদ জানান।
মোদী বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে নজিরবিহীনভাবে জোরদার হয়েছে।”
সোশাল মিডিয়া এক্স-এ শেয়ার করা এক বার্তায় মোদী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গণমুখী অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে তিনি একসঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।
দুই নেতা বিকশিত ভারত ২০৪৭ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ অর্জনের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বাসস।
