Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

দেশব্যাপী সাম্প্রতিক ব্যাপক সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি আঘাত আসতে পারে– এমন আশঙ্কা তার ছিল।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে (পিএমও) এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও হেড অব নিউজদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “তারা (বিএনপি-জামায়াত) আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার একটা আশঙ্কা ছিল যে, এ রকম একটা আঘাত আসবে।”

এ সময় তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, ফলে শত শত মানুষ নিহত ও হাজার হাজার লোক আহত হয়েছিল।

দেশে অস্থিতিশীলতা বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে– এমন কোনও ঘটনা দেখতে চান না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “এটি বোধগম্য যে, এটি একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র ছিল। কারণ তাদের লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা।”

মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন ও এর সামনে থাকা সরকারি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন ও এর সামনে থাকা সরকারি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

তিনি দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই বিপর্যয়কে সমর্থনকারীদের বোধবুদ্ধির স্তর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী।

শিক্ষার্থীরা যখন মাঠে ছিল তখন তিনি সেনা মোতায়েন করতে চাননি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা (শিক্ষার্থী) ঘোষণা করেছিল যে, তারা চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়, তখন আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি।”

দেশজুড়ে কারফিউ জারি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি কারফিউ আরোপ করতে চাননি, কারণ দেশ বিগত ১৫ বছর ধরে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের জন্য এই ক্ষতি করেছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সকল স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সব কাঠামোতে আঘাত করেছে। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা অবশ্যই গণমানুষ। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের।”

এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি বা আমরা একা কতটা করতে পারি।”

পুড়ে যাওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোলপ্লাজা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
পুড়ে যাওয়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মহাখালী টোলপ্লাজা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

তিনি করেন, সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো তখন তারা কেন জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিল – এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটামুক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশের এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিল।”

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

এতে সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাজাহান সরদার, ডিবিসির বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান বক্তব্য দেন। বাসস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত