Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

ভুটানের বিদ্যুৎ আনতে ভারতের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে সহযোগিতার প্রত্যাশার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশিত বিদ্যুৎ সহজে আমদানি করতে ভারত পক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।”

বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৫ মার্চ ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়ালের ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছেন, ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির জন্য এন্টি-ডাম্পিং ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এছাড়া তিনি প্রণয় ভার্মাকে বলেন, “ভারত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপটি আধুনিকায়ন করতে পারে।”

প্রণয় ভার্মা উল্লেখ করেন যে গত বছর ভারতীয় ঋণ ব্যবস্থার (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। আরও দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাইপলাইনে রয়েছে।

তিনি রুপি-টাকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেন, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের মতো দুই দেশের কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগের প্রসঙ্গেও কথা বলেন।

হাইকমিশনার বলেন, “ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের (সিইপিএ) জন্য আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর এই সিইপিএ সহায়ক হবে বলে।”

বৈঠকে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে হাই পাওয়ার গ্রিড লাইন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সৈয়দপুর থেকে নাটোর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে।

এছাড়া বিশ্বখ্যাত কিছু প্রতিরক্ষা শিল্প ভারতে তাদের কারখানা স্থানান্তর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশেও একটি প্রতিরক্ষা কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে।

পরে প্রণয় ভার্মা ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান। শেখ হাসিনা এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

এছাড়া রংপুরে একটি অফিস স্থাপনে আগ্রহের কথাও জানান হাইকমিশনার।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করে সরকার বিবেচনা করবে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত