বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ভুটানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ভুটানের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে রবিবার ভারতের নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবাসস্থলে গিয়ে তার সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভুটানকে দেওয়া জায়গার যথার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে।
এ ছাড়া ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, “এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়োজন এবং আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।”
দুই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভুটান থেকে ভারতের ভূখণ্ড দিয়ে বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি ইতোমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাসান মাহমুদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতের সময় দুদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসে।
তিনি বলেন, “উভয় দেশ বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।”
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কেননা ভুটান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি দেয়।
তিনি বলেন, “আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন। বাসস।