টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা একথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের (ইউএনসিসি) এসক্যাপ হলে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অবশ্যই সব ধরনের আগ্রাসন এবং নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘নিউ এজেন্ডা ফর পিস’-কে সমর্থন করে।”
সকল যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধ করার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গাজায় হামলা শুধুমাত্র হতাহত বিশেষ করে নারী ও শিশুদের হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, কিন্তু আলোচনা শান্তি আনতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ফিলিস্তিনে যুদ্ধ এবং গণহত্যা চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধ কোনও সমাধান আনতে পারে না।”
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে। সর্বোপরি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখ-তার প্রতি আমাদের পারস্পরিক সম্মান দেখাতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরে বুধবার ব্যাংকক যান। ২৯ এপ্রিল সকালে তার ব্যাংকক ত্যাগ করার কথা রয়েছে। বাসস।