Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

এডিপির শেষ মুহূর্তের অর্থ ছাড়ের প্রভাব জানতে চান প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয় তুলে ধরা হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয় তুলে ধরা হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে প্রকল্প বাস্তবায়নে যে অর্থ ছাড় হয়েছে তা কীভাবে খরচ হয়েছে, জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে এর প্রভাব কী ছিল তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে জানতে চান বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার।

ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সচিব।

তিনি বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন (এডিপিতে চলমান) যে প্রকল্পগুলোতে আমরা শেষ মুহূর্তে টাকা দিয়েছি সেই টাকাগুলো তারা কীভাবে খরচ করেছে এবং এটার ইমপ্যাক্ট স্টাডি করার জন্যও তিনি বলেছেন।

“তখন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি শেষ মুহূর্তে আমরা যেসব প্রকল্পগুলো শেষ করেছি এবং টাকা বরাদ্দ করেছি সেগুলোর কী অবস্থা এবং শেষ হলে সেটা সম্পর্কে একটা স্টাডি করা হবে।”

আগামী বৃহস্পতিবার এডিপি বাস্তবায়ন কেন কম হচ্ছে তা জানতে সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বৈঠক করবেন বলেও জানান সচিব। সেখানে অর্থছাড়ের প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনার কথাও জানানো হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করা নিয়ে আলোচনা হবে।

এসময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, “গত অর্থবছরে কৃচ্ছ্বতা সাধনের জন্য অর্থ ধরে রাখা ছিল। শেষ মুহূর্তে আমরা টাকাটা ছাড় দিয়েছি।

“বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও জানতে চেয়েছেন যে আমরা শেষ মুহূর্তে যে টাকাটা ছাড় করলাম এটা দেখা দরকার তারা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছে।”

কিছু দিনের মধ্যেই এ সংক্রান্ত তথ্য বের করা সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেন সচিব।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ৫৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।   

বাস্তবায়নের হার কম হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আইএমইডি সচিব বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই চাহিদা অনুযায়ী এলসি (আমদানি ঋণপত্র) খুলতে পারি নাই। আবার রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে সাপ্লাই চেইনেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত