Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

পুলিশ কর্মকর্তার বাবা-মাকে হত্যার কারণ এখনও অজানা

jatrabari thana-21-6-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় পুলিশ কর্মকর্তার বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করা হয়।

তবে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি হত্যাকাণ্ডের কারণও জানতে পারেনি তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর পশ্চিম মোমেনবাগের বাসা থেকে শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের (৫০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দম্পতির ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার তথ্য নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, নিহত দম্পতির ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। 

পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের কারণ বা খুনিদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।”

এই দম্পতির লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জানায়, বাসার নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুর রহমানের এবং দোতলায় শোয়ার ঘরে ফরিদা ইয়াসমিনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, শফিকুর রহমান ফজরের নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার সময় প্রথমে তার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিজেদের চারতলা বাড়ির দোতলায় থাকতেন শফিকুর-ফরিদা দম্পতি। ছেলে মামুন ও তার স্ত্রীও থাকেন তাদের সঙ্গে। বাড়ির তৃতীয় ও চতুর্থ তলা এবং নিচতলার একপাশ ভাড়া দেওয়া। বুধবার রাতে মামুন ও তার স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। মরদেহ উদ্ধারের সময় বাসার নিচের প্রধান ফটক ও দোতলায় তাদের ঘরের দরজা খোলা ছিল। বাসার আলমারিও খোলা ছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত