বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ৪০০ জনকে।
সোমবার সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে আটক ২০ জনের মধ্যে ১৬ শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি ওবায়দুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সোমবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে একদল শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নিতে চেয়েছিল। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সেখান থেকে ২০০ গজ দূরে চেরাগী পাহাড় মোড়ে জড়ো হয়ে আবার স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সেখান থেকেও তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এরপরও শিক্ষার্থীরা সরতে না চাইলে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। পরে তাদের তথ্য যাচাই করে ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকায় ১৬ জনকে মঙ্গলবার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাকি চারজনকে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান কোতোয়ালি থানার ওসি ওবায়দুল হক।
তিনি বলেন, “শিক্ষাথীরা সেদিন অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করতে চেয়েছিল। আর কারফিউ চলাকালে এই ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ। এছাড়া ঘটনাস্থলেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে তারা। এ ঘটনায় বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদানের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
“এতে বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।”
ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় উপস্থিত ১৬ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল জানিয়ে ওসি বলেন, “পরে তথ্য যাচাই করে তাদের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পরিবারের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী চারজন বহিরাগতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”