Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শিক্ষার্থীরা নয় পুলিশের লক্ষ্য নাশকতাকারী : ডিএমপি

পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় প্রিজন ভ্যানের সামনে ভিড়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
পুরান ঢাকার আদালত পাড়ায় প্রিজন ভ্যানের সামনে ভিড়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বিরোধ নেই, নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারই পুলিশের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি বলেন, “পুলিশের এখন টার্গেট যারা নাশকতাকারী, যারা মেট্রোরেল, সেতু ভবন, টোল প্লাজা ও বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পুড়িয়েছে। এসব বিষয়ে ২৬৪টি মামলা হয়েছে, সে সব মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান সমতুল্য। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পুলিশ সংবেদনশীল। পুলিশের টার্গেট যারা নাশকতাকারী, যারা মেট্রোরেল, সেতু ভবন, টোল প্লাজা ও বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পুড়িয়েছে। আমাদের শত্রু জামায়াত-শিবির চক্র এবং বিএনপির সন্ত্রাসীরা। তাদের ধরার জন্য ভিডিও ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেখে কাজ করছি।”

গত কয়েক দিনে ঢাকা শহরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় ডিএমপির ৫০ থানায় ২৬৪টি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এসব মামলায় ২ হাজার ৮৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেককেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য পেয়েছি, সেসব তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।”

তিনি আরও জানান, সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় ঢাকার বিভিন্ন থানায় ৫৩টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মামলার বাদী নিহতদের পরিবার সদস্যরা, বাকিগুলোয় রাষ্ট্রের পক্ষে বাদী হয়েছে পুলিশ।

নিরপেক্ষ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, “যেকোনও হত্যাকাণ্ড অবশ্যই দুঃখজনক। পুলিশ কোনও মৃত্যু প্রত্যাশা করে না। এসব হত্যা মামলা শতভাগ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। পুলিশ এখানে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তদন্ত করবে। সেই মামলাগুলো ডিএমপি কমিশনার নিজে তদন্ত-তদারকি করবেন। সিনিয়র অফিসারদের এসব মামলা মনিটরিংয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

রাজধানীতে ব্লক রেইড ও টার্গেট অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার বাণিজ্য অনেক পুরোনো একটি শব্দ। কোনও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেলে শুধু প্রত্যাহার নয়, সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেদিন থেকে ব্লক রেইডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেদিন থেকেই আমরা এ বিষয়ে সতর্ক। যদি এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ আছে।”

ব্লক রেইডে ডিএমপির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, “এটি করা হয়েছে যেন ব্লক রেইডে কোনও ধরনের আইনের ব্যত্যয় না ঘটে, নিরপরাধ মানুষ যেন বিন্দুমাত্র পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয়। এরপরও যদি কোনও ব্যত্যয় হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তবে অপরাধী যে তাকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।”

নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলির প্রসঙ্গটিও সাংবাদিকদের প্রশ্নে উঠে আসে। এর জবাবে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি ঘটনার পূর্বাপর বিচার করতে হবে। আমাদের সদস্য যদি গুলি করে থাকে, কোন প্রেক্ষাপটে গুলি করেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। যেসব ঘটনায় মামলা হয়েছে, প্রত্যেকটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করা হবে।

“যখন একটি মামলা হয়, তখন কে কোন দলের, কে কোন মতের, কে পক্ষ বা বিপক্ষের এগুলো আমাদের কাছে বিচার্য বিষয় নয়। সাধারণ মানুষ যখন একটি এজাহার দায়ের করেন, তখন পুলিশের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। কোনও দল-মত কিংবা পক্ষ-বিপক্ষের সুযোগ নেই এখানে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং যে দোষী হবে, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত