ঢাকার এক কিশোর হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে রাখতে চায় পুলিশ।
শনিবার তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মো. সাদেক। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখতে আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে আদালতের বাড্ডা থানার সহকারী জিআরও এসএম জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি ঢাকার বাড্ডায় হৃদয় আহম্মেদ (১৬) নামে এক কিশোর হত্যা মামলার আসামি।
তদন্ত কর্মকর্তা শুনানিতে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিকে নিবিড়ভাবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আসামির কাছ থেকে মামলার ঘটনার বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আসামি জামিনে মুক্তি পেলে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন, মামলার তদন্তে বিঘ্নও ঘটাতে পারেন।
তাই মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন বলে আদালতকে জানান তিনি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দিলীপ কুমারের জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন আদালতের আদেশে পুলিশ তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএনপি কর্মী কিশোর হৃদয় আহম্মেদ মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপর জেলার শিবচর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়। যার মধ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাও রয়েছেন।
