বাংলাদেশের হকির তৃণমূলের অতি পরিচিত কোচ ফজলুল ইসলাম আর নেই। যাকে ক্রীড়াঙ্গনের সবাই ফজলু ওস্তাদ বলেই চেনে।
বুধবার সকালে আরমানিটোলায় নিজের বাড়ির বারান্দায় হঠাৎ পা পিছলে পড়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তার নামাজে জানাজা বাদ আসর আরমানিটোলা মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।
হকি খেলাটা পুরান ঢাকার ঐতিহ্যেরই অংশ। ‘ফজলু ওস্তাদ’ নামে পরিচিত এই হকি কোচের হাত ধরে জাতীয় দলে উঠে এসেছেন রাসেল মাহমুদ জিমি, নাঈম উদ্দিন, ইমরান হাসানসহ অসংখ্য খেলোয়াড়। ফজলুল ইসলামের কোচিং কার্যক্রম চলত মূলত বাংলাদেশের হকির সূতিকাগার আরমানিটোলা স্কুল মাঠে। এলাকার ছেলেদের সেখানেই অনুশীলন করাতেন তিনি। করোনাকালে মাঠ ছেড়ে কিশোর-তরুণেরা ঘরে ঢুকে গেল, ফজলু ওস্তাদ নিজের বাড়ির ছাদে হকি অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
ফজলুর অধীনে আরমানিটোলা স্কুল দল জাতীয় স্কুল হকিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বেশ কয়েকবার। এ দলটি ছাড়াও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, কমবাইন্ড স্পোর্টিং ক্লাব, বাংলাদেশ পুলিশ টিমের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের প্যানেলভূক্ত কোচ।
কোচিংটা রক্তের মধ্যে এমনভাবে ঢুকেছিল ফজলুর যে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সময়ই পেতেন না। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে হকির মৌলিক বিষয়গুলো শেখানোতে ফজলু ওস্তাদের জুড়ি নেই। জাতীয় স্কুল হকি, যুব হকি অথবা মেয়েদের নতুন করে খেলা শেখাতে ডাক পড়ত অভিজ্ঞ এই কোচের। হকির জন্য নিজেকে নিবেদন করা এ মানুষটিকে ২০১২ সালে সম্মাননা দেয় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। এছাড়া গত বছর শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারও জেতেন তিনি।