চিত্রনায়িকা পরীমনির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে ঢাকার বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার বিচার চলবে।
এই মামলায় নিম্ন আদালতের অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে পরীমনির করা আবেদনে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পরীমনির মদপানের লাইসেন্স থাকায় মামলা থেকে মদের অংশ বাদ যাবে। আইস ও এলএসডির বিষয়ে নিম্ন আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এই মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। অপর দুই আসামি হলেন— পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার।
পরে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। আবেদনের শুনানি হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১ মার্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণসহ সেই রুল নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কী আছে তা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে জানা যাবে।
আদালতে পরীমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকালে ঢাকার বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, আইস ও এলএসডি উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। আটক করা হয় পরীমনিকে। পরদিন বনানী থানায় করা মাদকের মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় পরীমনিকে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
বৃহস্পতিবার পরীমনির আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের পর পরীমনির বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জ ফ্রেম করতে হবে। বিচারে অ্যালকোহলের (মদ) অংশটা বাদ যাবে। আইস ও এলএসডির বিষয়ে নিম্ন আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।