দীর্ঘদিন ধরে রঙিন পর্দায় অনুপস্থিত রয়েছেন নায়িকা পরীমনি।
অবশেষে ‘ফেলুবক্সী’ নিয়ে আসছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বড় পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এই সিনেমা। আর এই সিনেমা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অভিষেক হবে পরীমনির।
দুর্গাপূজায় মণ্ডপে থ্রিলারধর্মী এই সিনেমার পোস্টার প্রচারণা জোরেশোরেই চলেছে। তবে ভিসা জটিলতায় তা যেয়ে দেখার সুযোগ পাননি পরীমনি।
ছবিতে পরীমনির বিপরীতে রয়েছেন টলিউড হিরো সোহম।
পরী বলছেন, খুব শিগগিরই হলে আসছে এই সিনেমা। কিন্তু কবে তা এখনও অজানা।
কিন্তু এরমধ্যে অনম বিশ্বাস পরিচালিত পরীমনির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তির দিন ঘোষণা করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান হইচই।
হইচই প্ল্যাটফর্মে ৮ নভেম্বর আসছে ‘রঙিলা কিতাব’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিসিয়াল পোস্টার পোস্ট করে ওয়েব সিরিজের মুক্তির তারিখ জানিয়েছে হইচই।
হইচই থেকে সকাল সন্ধ্যার কাছে পাঠানো ছবিতে দেখা গেলে অন্তঃসত্ত্বা সাজে পরীমনির লুক।
‘রঙিলা কিতাব’ ওয়েব সিরিজে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পরীমনি মোস্তাফিজুর নূর ইমরান।
পোস্টারেও দেখা মিলেছে দুজনের- নায়কের এক হাতে বন্দুক আর এক হাতে জড়িয়ে ধরে আছেন নায়িকাকে; চোখে-মুখে ভয় নিয়ে নায়কের বুকে গুটিসুটি মেরে আশ্রয় খুঁজছেন নায়িকা।
কিঙ্কর আহ্সানের লেখা ‘রঙিলা কিতাব’ উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে পোস্টারে বলা আছে, ‘রক্তেরাঙা প্রেমের কিসসা’।
এই প্রথম কোনো ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন পরীমনি। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর থেকেই আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
পরীমনি বলেন, “প্রতিটি প্রথম অনুভূতি, প্রথম স্মৃতি সবার জন্যে সব সময় স্পেশাল। সেই রকমই আমার প্রথম ওয়েব সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ। এটি সম্ভব হয়েছে হইচই-এর কারণে।
“শুটের শুরুর দিন থেকেই আমি বেশ এক্সাইটেড ছিলাম। এটি আমার জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। শুটিংয়ের সময় আমার সহ-অভিনেতা ও টিমের সকল সদস্যের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সবাই খুব হেল্পফুল ছিল। এখন দর্শকদের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার সময়।”
অভিনেতা মোস্তাফিজুর নূর ইমরান বলেন, “রঙিলা কিতাবের জন্য আমরা সকলেই নিজ নিজ স্থান থেকে আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছি। এখন কাজটি মুক্তির অপেক্ষাতে আমরা।”
‘মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের গল্প রঙিলা কিতাব’ নিয়ে পরিচালক অনম বিশ্বাস বলেন, “গল্পটাকে এমনভাবে বলার চেষ্টা করেছি, যাতে দর্শকরা কানেক্ট করতে পারে।
“এই সিরিজটি তৈরি করতে গিয়ে আমরা শুধু বিনোদন নয় বরং একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। আমার বিশ্বাস, রঙিলা কিতাব দর্শকদের মুগ্ধ করবে আর তাদের মনে একটি বিশেষ জায়গা করে নেবে।”