Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

ক্ষমতার ভিত্তি নড়বড়ে বলে সরকার গণবিরোধী অবস্থানে : ইফতেখারুজ্জামান

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতার ভিত্তি নড়বড়ে বলে সরকার গণবিরোধী অবস্থানে চলে গেছে বলে মনে করছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের প্রতিবাদে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। টিআইবির নির্বাহী প্রধান ইফতেখারুজ্জামানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন।

তারা বলেন, নিরস্ত্র মানুষ হত্যা, গণগ্রেপ্তার, অবৈধ আটক, নিপীড়ন ও নির্যাতন সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫, ৩৭, ৩৯ অনুচ্ছেদ, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন মানবাধিকার দলিলের (যেমন : ১৯৬৬ সালের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তি, নির্যাতন বিরোধী চুক্তি) স্পষ্ট লঙ্ঘন। আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে হত্যা মানবতাবিরোধী অপরাধ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারযোগ্য অপরাধ।  

১৬ জুলাই পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকার ভুলে গেছে বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। ক্ষমতার ভিত্তি না থাকলে সরকার তখন গণবিরোধী অবস্থানে চলে যায়। এখানে তাই হয়েছে।”

বাংলাদেশ নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কার কাছে বিচার চাইছি? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে? বাংলাদেশে এমন কোনও অপরাধ নেই, যার সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন জড়িত নয়।”

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মানবাধিকারকর্মী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, “গত কয়েকদিন স্মরণকালের ভয়াবহ ঘটনাবলীতে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা, জুলুম ও নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে আমরা কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নাগরিক আজ এখানে সমবেত হয়েছি। গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ, নিরস্ত্র, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গত ১৬ জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী এবং তাদের পাশাপাশি সাংবিধানিক শপথ এবং আইন উপেক্ষা করে সরকারের কিছু মন্ত্রীর দায়িত্বহীন, উস্কানিমূলক বক্তব্য ও প্ররোচনায় তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা নজীরবিহীন সহিংস দমন-পীড়নের তাণ্ডব চালিয়েছে।

“এতে দুই শতাধিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ছয় হাজারের বেশি নাগরিক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, যার সংখ্যাগরিষ্ঠই সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং খেটে খাওয়া সাধারণ নাগরিক। আহতদের মধ্যে ৬১৫ জন দৃষ্টি হারানোর আশঙ্কায় আছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে নয় শিশু, যাদের বয়স ৪-১৬ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ৪ জন নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”

কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে কত নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতদের ৭৫ ভাগ শিশু, কিশোর ও তরুণ, যাদের বেশিরভাগের শরীরেই প্রাণঘাতী গুলির ক্ষতচিহ্ন ছিল। এছাড়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় হতাহতের মধ্যে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সংবাদকর্মীও রয়েছেন।

“বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ২১০ জনের নিহত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হলেও সরকার ১৪৭ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করেছে, যা অগ্রহণযোগ্য। আমাদের বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি, যা ইন্টারনেট বন্ধ থাকায়, সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও তথ্যপ্রবাহে সরকারি বাধার কারণে জানা যাচ্ছে না।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সাংবিধানিক ও আইনি সুরক্ষা ‘লঙ্ঘন করা হয়েছে’ অভিযোগ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “এত অল্প সময়ে কোনও একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বিপুল সংখ্যক হতাহতের নজির গত একশ বছরের ইতিহাসে আমাদের দেশে বা উপমহাদেশের অন্য কোথাও নেই। পুলিশের নির্বিচার গুলিতে নিরস্ত্র আন্দোলনকারী, পানি বিতরণকারী কিশোর, পলায়নরত ছাত্র ও ছাদে খেলতে যাওয়া শিশুর মৃত্যুর যে হৃদয়বিদারক বর্ণনা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্পষ্ট যে, বলপ্রয়োগ ও সহিংসতার মাত্রা সব সীমা অতিক্রম করেছে এবং সাংবিধানিক ও আইনি সব সুরক্ষা লঙ্ঘিত হয়েছে।

“গুলি করার ক্ষেত্রে পুলিশের আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। দেশের বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের জন্য জাতিসংঘের লোগোসম্বলিত সাঁজোয়া যান রাস্তায় নামানো হয়েছিল, সেনাবাহিনী-সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত করা হয়েছিল, কারফিউ জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হেলিকপ্টার থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও অভিযোগমতে গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা দেশের ইতিহাসে নজীরবিহীন।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী নামানো হয়।

২৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এ প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক বলেন, “সমন্বয়কদের তিনজন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতাল ঘিরে সরকারের ৫টি বাহিনীর লোকজন ছিল। তারা অপারেশন চালানোর মতো করে সেখানে ঢোকে। হাসপাতালের স্টাফদের জোর করে সরিয়ে দিয়ে তারা সমন্বয়কদের নিয়ে যায়।

“পরে এসে জোর করে রিলিজ অর্ডার নেয়। আমি নাহিদকে দেখেছি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গা কালো হয়ে গেছে। রড দিয়ে তাকে মারা হয়েছিল। যারা নাহিদকে মারল, তারা বলছে তারা নাকি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেশি নিরাপদ তারা কোথায় থাকবে?”

 “আজকে এই সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলামের মা ও স্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু ডিবি থেকে তাদের এখানে আসতে মানা করা হয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায়, ডিবি অফিসে আসলে কী হচ্ছে,” যোগ করেন শিরীন হক।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, “আমি শিক্ষক হিসেবে কীভাবে আমাদের ছাত্রদের মুখোমুখি হব, জানি না। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিতে পারি নাই। আবু সাঈদকে গুলি করা হলো রংপুরে। সে ফেইসবুকে লিখেছিল শিক্ষক শামসুজ্জোহার কথা। একটা সিস্টেম কতটা নষ্ট হলে ২০২৪ সালে এসে একজন শিক্ষার্থীকে ১৯৬৯ সালের একজন শিক্ষকের কথা মনে করতে হয়। কারণ এর মধ্যে আর কেউ আসেনি।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে ২৮ জুলাই ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। সহিংসতার সময় রাজধানীর সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানায় করা মামলায় সোমবার আরিফ সোহেলের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকার ‘দেশের স্পিরিট, সংবিধান, আইন নষ্ট করে ফেলেছে’ বলে অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, “আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ সোহেল। ১৮ জুলাই সে ক্যাম্পাসে মিছিল করেছে, এমন অনেক ছবি-ভিডিও আছে। কিন্তু তাকে ঢাকার একটি স্থাপনায় হামলার মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার কী করছে। বাংলাদেশের স্পিরিট, সংবিধান, আইন সব নষ্ট করে ফেলেছে সরকার।”

কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা বলেন, “আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনের ইতিহাস পুরানো। কিন্তু এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে প্রতিরোধ, তা অনবদ্য। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যে সাহস দেখিয়েছে, তা আমাদের সাহস দিয়েছে। সব অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাহস এই শিক্ষার্থীরা আমাদের দিয়েছে।”

শিক্ষার্থীদের রক্ষায় অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকারকর্মী শামসুল হুদা বলেন, “হানাদার বাহিনীর স্টাইলে হত্যাযজ্ঞ, ব্লক রেইড চালানো হচ্ছে। এমন দেখব বলে তো যুদ্ধ করিনি আমি। গত ১০ বছর ধরে অনেক অন্যায়-অবিচার দেখছি। কিন্তু আর নয়। এনাফ ইজ এনাফ।

“আমাদের সন্তানদের বাঁচাতে আমি অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে যদি আবার জীবন দিতে হয়, তাও দিতে হবে।”

১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালনে বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় নামে ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় গান ছিল, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’। কিন্তু এখানে শুধু বাচ্চা মারা হয়েছে ৯টি। এই ৯টি ফুলের জন্য একবারও মন্ত্রীদের ক্রন্দন দেখি না।

“তারা শুধু স্থাপনা ধ্বংসের কথা বলে। কেউ তো এখনও কোনও হত্যাকাণ্ডের জন্য গ্রেপ্তার হলো না। পুলিশ বলেছে, আবু সাঈদের মৃত্যু নাকি ইটের আঘাতে হয়েছে। মশকরা করেন নাকি? আমরা দেখি নাই কী হয়েছে? এসব বলে মানুষের ক্ষোভ আরও উসকে দিচ্ছেন আপনারা।

“আজকে যারা আন্দোলন করছে, বুকে গুলি খাচ্ছে, তারাই মুক্তিযোদ্ধা। আর যারা বুকে গুলি করল এবং তাদের যারা অনুমতি দিল, তারাই ২০২৪ সালের রাজাকার। কারণ এরা গণমানুষের বিরুদ্ধে।”

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি হেফাজতে থাকা সমন্বয়কদের মুক্তি; কারফিউ প্রত্যাহার ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ; সব মৃত্যুর সঠিক, স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি; হতাহত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রের ব্যবহার ও বল প্রয়োগের বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তদন্ত; হতাহত নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ; নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া; ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পূর্ণমাত্রায় খুলে দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত