প্রায় ১ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে মঙ্গলবার নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরপর বুধবারই অনেক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবর আসে বলে জানান অভিভাবকরা।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় জানিয়েছিলেন, দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখনই দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা হবে না। তার ঠিক একদিন পরেই মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশনা এল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত ৩ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা রহিত করা হয়। সেদিনের আদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে পরিপূর্ণ উদ্যোমে কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার কথাও বলেছে মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিন রাতেই এক প্রজ্ঞাপনে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ৬ আগস্ট থেকে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা খাকবে।
তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় নানা ধরনের অরাজকতা-সহিংসতা। এ অবস্থায় সন্তানদের স্কুল-কলেজে পাঠাননি অভিভাবকরা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট থেকে কলেজ ও মাদ্রাসায় ক্লাস শুরু হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাসে ফেরে শিক্ষার্থীরা। অপেক্ষায় ছিল শুধু প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা।