Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের আশ্বাস পেয়েছি : আনার কন্যা

বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি আনারের ছোট মেয়ে ডরিন।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি আনারের ছোট মেয়ে ডরিন।
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যার বিচার চেয়েছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছেন।

বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডরিন। যখন তিনি এ কথা বলছিলেন তখন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

ভারতে পরিকল্পিত খুনের শিকার এমপি আনার

তিনি বলেন, “একটা সময় ১৪টা বছর আমার বাবা মিথ্যা মামলার হুমকিতে পালিয়ে পালিয়ে থেকেছে, যখন আমি অনেক ছোট। তখন আমার বাবাকে কাছে পাইনি। যখন আমার একটু বুঝ হয়েছে, তখন আমার বাবাকে আমি কাছে পেয়েছি, এখন আমি হারিয়ে ফেললাম।

“আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই এবং আমি নিজে স্বচক্ষে দেখতে চাই, আমাকে কারা এতিম করল, কেন করল…।”   

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ৫৬ বছর বয়সী আনোয়ারুল আজীম আনার। উঠেছিলেন কলকাতার উত্তর শহরতলী বরাহনগরে পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, এমপি আনারের সঙ্গে পরিবারের শেষ যোগাযোগের বিষয়ে। এ প্রশ্নে ডরিন জানান, তার বাবার সঙ্গে শেষ ভিডিও কলে কথা হয়েছিল।

তিনি বলেন “বাবা বলেছিলেন, ভারতে যাচ্ছেন এবং দুয়েকদিনের মধ্যে ফিরে আসবেন।”

১৪ মে’র পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ ছিল না। গত ১৯ মে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে সেকথা জানিয়েছিলেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। নিখোঁজ বাবার সন্ধানে এরপর ভারতে যান তিনি।

তার দুদিন পর ২২ মে বুধবার কলকাতার শহরের নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে আনারের লাশ পাওয়ার খবর এসেছে ভারতের সংবাদমাধ্যমে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এমপি আনারের ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, পুলিশ যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের তিনি চেনেন কি না। উত্তরে ডরিন জানান তিনি কাউকে চেনেন না।

তিনি বলেন, “আসামি যাদের ধরা হচ্ছে, বা ধরা হয়েছে, ধরার পরিকল্পনা চলছে, তাদেরকে আমি ধরতে বলেছি। এবং আমি সহযোগিতা চাচ্ছি, তাদেরকে ধরুক। তাহলে অবশ্যই কোনও না কোনও কিছু বেরিয়ে আসবে।

পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে প্রথমে যার বাড়িতে উঠেছিলেন আনার, সেই ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস আনার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিবিসি বাংলার সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।

এক সংবাদিক প্রশ্ন করেন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে রিসেন্টলি কোনও ঝামেলা হয়েছে কি না?

এ প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, “আমি কোনও কিছুই জানি না। আমি জানলে তো তাহলে জেনেই থাকতাম।”   

বাবা আনারের সঙ্গে ছোট মেয়ে ডরিন। ছবি ডরিনের ফেইসবুক পেইজ থেকে নেওয়া।

সংসদ সদস্য আনারের দুই মেয়ের মধ্যে ডরিন ছোট। বড় মেয়ে আনজুম ফেরদৌস অরিন পেশায় চিকিৎসক।

ডরিন দেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ছেন। তার ফেইসবুক পেইজে তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন বলেও পরিচয় উল্লেখ করেছেন।   

কান্নায় ভেঙ্গে পড়া ডরিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বাবা… আমি চাইবো, আপনারা সহযোগিতা করেন, আপনারা আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

আনার খুন : সেই ফ্ল্যাটে লাশ মেলেনি, জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

“আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের মতোন, সে আমার মায়ের মতোন। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, সে আমাকে যথেষ্ট হেল্প করছে। সে আমাকে মায়ের মতো করেই বলছে, তুমি চিন্তা করো না। আমাকে সে প্রথম দিন… তার সাথে আমার বাবার মিসিংয়ের কথা হয়… ডিবির হারুন আঙ্কেলের এখানে যেদিন এসেছিলাম তার আগের দিন তার (প্রধানমন্ত্রী) সাথে কথা হয়।”

“প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি; প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছে, আমি ইনভেস্টিগেশন চালাচ্ছি, আমি সবরকম চেষ্টা করতেছি।”  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত