Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য’ প্রকল্প বাছাইয়ের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

SS-PM_13.02.2024
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি যেগুলোতে কম অর্থ প্রয়োজন সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে সব মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় আমাদের দেখা দরকার যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি।”

মঙ্গলবার ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতিত্বকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “যেসব প্রকল্প অল্প খরচ করলেই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। তাহলে আমরা আবার নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে, তবে আমার মনে হয়, সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কারণ দ্রুত শেষ না করলে খরচ যেমন বাড়ে, তেমন অহেতুক কালক্ষেপণ হয়, সেটা যেন আর না হয়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈশ্বিক কারণেই এখন কিছু অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে তাছাড়া আমরা খুব ভালভাবেই এগোচ্ছিলাম। আমাদের প্রবৃদ্ধিও সেভাবে বাড়ছিল। দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছিল। বিশ্বব্যাপী এখন একটি অশান্ত পরিবেশ। যার কারণে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়ও বেশি লেগে যাচ্ছে। চাপটা আমাদের ওপরও এসে পড়েছে।”

যে কারণে তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।

তিনি এ সময় বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি জলাভূমিগুলোতে মাছ চাষের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তার নিজের এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া) সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছেন। যারা অনুপস্থিত মালিক তারা একটা অংশ পাবে কিন্তু তাদের অংশটা একটু কম হবে, যারা শ্রম দেবে তারা একটা অংশ পাবে আর সমবায়ের জন্য একটা অংশ থাকবে। যাতে করে খরচটা চালানো যায়। আমি এটা করে যাচ্ছি এবং আমি মনে করি এটাতে সফল হতে পারলে এবং সারা দেশে এটা চালু করে দিতে পারলে কোনও জমি আর অনাবাদি থাকবে না।

তিনি বলেন, “কিছু কিছু জিনিস আমাদের বাইরে থেকে আনতেই হয়। তারপরেও সার্বিক উৎপাদন বাড়ানো গেলে এর শুভফলটা জনগণ পাবে, অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।”

উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন দেশের প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। ভোজ্যতেলের ৯০ শতাংশ আমদানী নির্ভর। কিন্তু এবার আমাদের যে পরিমাণ সরিষা হয়েছে। এভাবে ধীরে ধীরে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।

“তাছাড়া মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে এবং মানুষের এগুলো গ্রহণের হারটাও বেড়েছে। যারা আগে আমিষ খাবার কথা চিন্তা করত না, এখন তারাও নিচ্ছেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নটা আমাদের দরকার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে।” বাসস।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত