Beta
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যানার ঝুলিয়ে বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থী ব্যানার দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থী ব্যানার দেখা যায়।
[publishpress_authors_box]

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে উঠে ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশ কয়েকটি ব্যানার ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থী চার বিক্ষোভকারী।

আল জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালো পোশাক পরে ও মুখে কাপড় বেঁধে পার্লামেন্ট হাউসের ছাদে ওঠেন ফিলিস্তিনপন্থী রেনেগেইড অ্যাক্টিভিস্টস গ্রুপের চার সদস্য।

সেখানে তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। ব্যানারগুলোতে লেখা ছিল, “নদী থেকে সাগর, ফিলিস্তিন হবে মুক্ত”; “দখল করা ভূমিতে কোনও শান্তি নেই”। 

প্রায় এক ঘণ্টা ছাদেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করার পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ছাদ থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

ছাদে অবস্থানকালে এক বিক্ষোভকারী মেগাফোনে ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে ইসরায়েল। আর অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের সহযোগিতায় লিপ্ত।

তিনি চিৎকার করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতি, আধিপত্যবাদী চরিত্র ও পুঁজিবাদী স্বার্থ উন্মোচন ও বিরোধিতা করে যাব আমরা।

“যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তারও বিরোধিতা করে যাব।”   

বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ‘মহান ও শক্তিশালী’ বন্ধু অভিহিত করেন রেনেগেইড অ্যাক্টিভিস্টস গ্রুপের ওই সদস্য। বলেন, “দেশ দুটির দালাল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধাপরাধে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে।”           

ইসরায়েলের হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের গাজা।

ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠনটির এই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সেনেটর জেমস প্যাটারসন। এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে পার্লামেন্টের নিরাপত্তা গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে।

“এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে পার্লামেন্ট ভবনের নকশা পরিবর্তন করা হয়েছিল। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া দরকার।”  

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় সেদিন ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। জিম্মি হয় ২৫২ জন।

হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিনই গাজায় হামলা করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে। ৯ মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৯ লাখ মানুষ।

যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ দেখে অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলো, যা এখনও চলছে। এছাড়া দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মাসব্যাপী বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনপন্থীরা।       

সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নেন দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সেনেটর ফাতিমা পেম্যান। পার্টির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পার্লামেন্টে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিরোধী দল গ্রিনসের প্রস্তাবে সমর্থন জানান তিনি। প্রতিক্রিয়ায় সোমবার সেনেটর ফাতিমা পেম্যানকে বরখাস্ত করে লেবার পার্টি। 

এরপর বৃহস্পতিবার লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন ফাতিমা। বলেন, “আমার বিবেক অন্য পথ বেছে নিতে আমাকে বাধা দেয়।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত