Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

আসছে ১০ হাজার ‘স্মার্ট’ নারী উদ্যোক্তা’ তৈরির প্রকল্প

women-entrepreneurs-bdngladesh
[publishpress_authors_box]

দেশের নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ৬৪টি জেলার ২০০টি উপজেলায় ১০ হাজার ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা’ তৈরিতে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।

‘সমবায়ের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃজন’ শীর্ষক এই প্রকল্প আগামী তিন বছরে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা খরচ করে সমবায় অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের একজন কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে জানান, এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে গ্রামীণ এলাকার বিশেষ করে নারীর গ্রামীণ হস্তশিল্প পণ্যের মানোন্নয়ন, তাদের উৎপাদন বিক্রির জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করা, আবার সেই পণ্য ডিজিটাল সিস্টেমে বাজারজাতের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করে গ্রামীণ পণ্যের বাজার বড় করার উদ্যোগ এই প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “গ্রামীণ নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে ১০ হাজার ‘স্মার্ট’ নারী সমবায়ী উদ্যোক্তা গড়ে তোলা প্রকল্পটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, নিবন্ধিত ২০০টি মহিলা সমবায় সমিতির সদস্যদের টেকসই অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়।

প্রকল্পটির মাধ্যমে সারাদেশের ২০০ উপজেলার নারী হস্তশিল্পী ও নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠন করা হবে। এরপর তাদেরকে ৪০০টি বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে উৎপাদন পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা হবে। তাদের মধ্যে ১০ হাজার সমবায়ীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

সারা দেশের বাছাই করা নারীদের তাদের উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করতে ৯৪ কোটি টাকা উদ্যোক্তা ঋণ প্রদান করা হবে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর জন্য একটি অত্যাধুনিক ‘সমবায়’ ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমবায় সমিতির সহায়তায় নারীদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি সহজ করার পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য একটি শক্তিশালী ‘সমবায়’ ব্র্যান্ড তৈরি করারও প্রকল্পের লক্ষ্য।

প্রকল্প এলাকা নির্বাচন যেভাবে

পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, প্রকল্প এলাকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০১৬, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জেন্ডার স্ট্যাটিসটিক্স বাংলাদেশ ২০১৮ এবং পলিসি ব্রিফ অন জেন্ডার বেজড এডুকেশন বিবিএস ২০২০ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত এলাকাগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘আইআরজি ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড’ এর মাধ্যমে এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।

তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে সমবায়ী নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত