বুখারেস্টের রিং রোডের শোরগোল আর যানবাহনের ভিড়ে দাঁড়িয়ে এক কৃষক। জানুয়ারির তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ঘিওসেলের এক হাতে একটি ভেড়া, আর গলায় ঝোলানো রোমানিয়ার পতাকা। চিৎকার করে তিনি বলছিলেন, “আমরা ইউরোপের দাসে পরিণত হয়েছি। এটা আর মেনে নেওয়া যায় না।”
উপরের দৃশ্যটা কোনও চলচ্চিত্রের নয়, রোমানিয়ার চলমান কৃষক আন্দোলনের একদিনের চিত্র।
শুধু রোমানিয়া নয়, ইউরোপের কয়েকটি দেশেই অনেকদিন চলছে এই আন্দোলন। শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রায় উপেক্ষিত এই আন্দোলনের খবর ক্রমশ সামনে আসছে। কারণ কদিন পরেই ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচন।
ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, রোমানিয়া, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, স্পেন, গ্রিস, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরিসহ ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে চলছে কৃষক আন্দোলন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনে এই আন্দোলন প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাদের একাংশ মনে করছেন, ইউরোপের ডানপন্থি দলগুলো এই আন্দোলনকে পুঁজি করে ক্ষমতায় আসতে পারে। যদিও আন্দোলনের বাস্তবতা বলছে, কৃষকরা ডানপন্থিদের থেকে দূরে থেকেই নিজেদের স্বতন্ত্র অবস্থান ধরে রাখতে চাইছেন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর ইউরোপজুড়ে জ্বালানি তেল-গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। এর চাপ পড়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ বাস্তবতায়। ইউরোপের দেশগুলোর অধিকাংশই জ্বালানির বাড়তি মূল্য সমন্বয় করতে কৃষিখাতের ভর্তুকি কমাচ্ছে। এতে ভয়াবহ সংকটে পড়ছেন কৃষকরা।
এর বাইরে আছে ইউরোপের ‘গ্রিন ডিল’ ও ‘এজেন্ডা ২০২৩’ নীতির চাপ। গ্রিন ডিল অনুসারে কার্বন ও নাইট্রোজেন নিঃসরণ কমাতে ইউরোপ কৃষিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে চাইছে। এতে স্থানীয় কৃষি পণ্যের দাম বাড়ছে। ভোক্তাদের বাড়ছে ব্যয়, কিন্তু কৃষকদের মুনাফা কমছে।
এমন সব বাস্তবতা নিয়েই চলছে ইউরোপের কৃষকদের আন্দোলন।
কেন আন্দোলন
তাইতো ঘিওসেলকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের কাছে এত দামি ডিজেল, গ্যাস, বিমা আছে… আমাদের দেশে সবকিছুই আছে, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত অন্য দেশে কাজ করতে যাই।”
গত তিন দশকে রোমানিয়ার ৫০ লাখের বেশি মানুষ অভিবাসী হয়েছেন।
বিক্ষোভ করছেন বতোসানি কাউন্টির কৃষি উদ্যোক্তা দানুত অ্যান্ড্রুস। টিকটকে #ফার্মার লিখে বিক্ষোভের ভিডিও আপলোড করে যাচ্ছেন তিনি। তার এক একটি ভিডিও প্রায় তিন লাখের বেশি মানুষ দেখেছে। তার উদ্দেশ্য একটাই; ইউরোপের কৃষকদের দুর্দশার কথা যত বেশি সম্ভব মানুষকে জানানো যায়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়ায় কৃষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩৫ লাখ। গত ১০ জানুয়ারি থেকে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ করছেন।
দেশটির সরকারকে তারা ইতোমধ্যে ৪৭ দাবি সম্বলিত ২০ পাতার একটি দলিল জমা দিয়েছেন। সেখানে তারা ডিজেলের ওপর কর ও মোটরগাড়ির জন্য বাধ্যতামূলক বিমার হার কমাতে বলেছেন।
এছাড়া ইউক্রেনের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি, ইউক্রেনের ট্রাক চালকদের অপারেটিং খরচ কম। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য তাদের কোনও অনুমতিপত্র লাগে না। ফলে তারা রোমানীয় চালকদের চেয়ে কম মূল্যে পরিষেবা দিতে পারেন।
অ্যান্ড্রুস জানান, এই প্রতিবাদের শুরু হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপ থেকে। রোমানিয়ার সরকারের সঙ্গে কৃষকদের দাবি নিয়ে আলোচনা করে তিনি এই বিক্ষোভের অন্যতম মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন। আল জাজিরাকে তিনি জানান, কৃষকদের পক্ষে কথা বলার জন্য একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি, কিন্তু সফল হননি।
১০ জানুয়ারির বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানী থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে আফুমাটি পৌরসভার কাছে রাস্তায় শেষ হয়েছিল। কারণ কিছু বিক্ষোভকারীর অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের আর সামনে যেতে দেয়নি। ২১ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার অনুমতি দিলেও, বিক্ষোভকারীদের এগোতে দেয়নি ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীরা।
রোমানিয়ায় বিক্ষোভ করতে হলে এর আয়োজকদের আগে থেকেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয়। অনুমতিপত্রে কতজন বিক্ষোভ করতে পারবেন, এর সীমা নির্দিষ্ট করা থাকে।
রোমানীয় কৃষকরা গত ১৪ জানুয়ারি ইউক্রেনের সঙ্গে সিরেটের সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। একই দিনে ইউক্রেনীয় শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট কেন্দ্র রোমানিয়ার কৃষ্ণ সাগরের বন্দর কনস্টানতার দুটি প্রবেশপথও অবরোধ করে তারা।
কৃষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন দেশটির ট্রাক-লরি চালকরাও। তারা প্রতিবাদে অংশ না নিলেও সমর্থন দিচ্ছেন।
বিক্ষোভের প্রতীক ট্রাক্টর
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউরোপের অন্য দেশেও কৃষকরা ফুসে উঠছেন। মূলত শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তখন নেদারল্যান্ডসের কৃষকরা সরকারের নাইট্রোজেন নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ওই প্রতিবাদ চলে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে।
গত ডিসেম্বরে পোল্যান্ডের ট্রাকচালকরা মেডিকা সীমান্তের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি ছিল, ইউক্রেনের চালকদের মতো সুবিধা তাদেরও দিতে হবে। এ মাসের শুরুতে পোলিশ কৃষকরা সস্তায় পণ্য আমদানির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। জার্মানিতে গত ১৫ জানুয়ারি কৃষকরা ৫ হাজার ট্রাক্টর নিয়ে বার্লিনে র্যালি করে জ্বালানি তেলের উপর ভর্তুকি কমানোর বিরুদ্ধে।
সোশাল মিডিয়াগুলোতে এসব বিক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। জার্মানির একটি বড় রাস্তা ট্রাক্টর দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে, এমন একটি ভিডিও ৭০ লাখ বার মানুষ দেখেছে। ফ্রান্সের কৃষকরা একটি সরকারি ভবনের সামনে গোবর ও খড়কুটো ঢেলে দিচ্ছেন, এমন ভিডিও দেখেছে কমপক্ষে দশ লক্ষাধিক মানুষ।
ইউরোপে কৃষকদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছে ট্রাক্টর। হোয়াটসঅ্যাপে ‘ইম্প্রেসিভ, দ্য রেভ্যুলেশন অব অল অব ইউরোপ অ্যাগেইনেস্ট দ্য গর্ভমেন্টস, দ্য ইইউ অ্যান্ড দ্য ২০৩০ এজেন্ডা’ শিরোনামের বার্তা ব্যাপক হারে প্রচার হচ্ছে।
সবচেয়ে সহিংস বিক্ষোভটি হয়েছে ফ্রান্সে। জানুয়ারির মাঝামাঝি কয়েক হাজার কৃষক প্যারিসের রাস্তা আটকে, টায়ার পুড়িয়ে এবং দেশজুড়ে একাধিক সরকারি ভবনের সামনে গোবর ছিটিয়ে বিক্ষোভ করে। ফ্রান্সের দক্ষিণে বিক্ষোভকারীরা মদবাহী কয়েকটি ট্রাকে ভাঙচুর চালায়। স্পেন এবং মরক্কো থেকে সস্তায় পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি ছিল তাদের।
ফরাসি কৃষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার পুরো বোঝা তাদের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনকারীরা মূল্য কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা আরও অভিযোগ করছেন কম বেতন এবং অতিরিক্ত দাপ্তরিক জটিলতা নিয়ে।
বিতর্কিত পরিবেশ নীতি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশ নীতির প্রতিক্রিয়ার বিষয়েও তাদের উদ্বেগ আছে। ওই নীতিতে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য চার শতাংশ জমি ফেলে রাখার বা ইউরোপীয় সাহায্য পেতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় কৃষক ইউনিয়ন এফএনএসইএ’র দাবি হল, ইইউ’র পরিবেশ নীতিগুলো কৃষকদের প্রতি বেশ কঠোর এবং তাদের ব্যবসায়িক মডেলকে হুমকির মুখে ফেলছে। তারা বলছেন, গ্রিন ডিলের (রাসায়নিক সারমুক্ত চাষবাস) মূল দর্শন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে টেকসই বিকাশের উপর জোর দেয়, এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।
সাম্প্রতিক একটি জরিপ বলছে, ৮২ শতাংশ ফরাসি কৃষকদের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন করে।
প্যারিসের মুফেটার্ড স্ট্রিটের একটি সবজির দোকানে কাজ করেন অলিভিয়ার। তিনি কৃষকদের প্রতিবাদের সঙ্গে একমত। তিনি বলেন, “জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফ্রান্সের কাছে বেশি আশা করে।”
তিনি দুটি ম্যান্ডারিনের (কমলার এক ধরনের জাত) বাক্স দেখিয়ে বলেন, “ইতালি থেকে আসা ফলটির দাম প্রতি কিলোগ্রাম ৫ দশমিক ৮০ ইউরো, আর ফ্রান্সে উৎপাদিতটির দাম ৭ দশমিক ৯০ ইউরো।”
ফরাসি কৃষকদের মতে, তাদের সবজি বেশি দামি কারণ তারা কম কীটনাশক ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্যাপার হল, ভোক্তাদের কাছে খাবারের দাম বাড়ছে, লাভ কমছে কৃষকদের।
ফরাসি পরিবেশবিদ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য ইয়ানিক জাদোট সম্প্রতি ফ্রান্স ইনফো নেটওয়ার্কে এক ঘোষণায় জানান, ফ্রান্সের কৃষকদের এক তৃতীয়াংশ দারিদ্রসীমার নিচে এবং দিনে অন্তত দুইজন কৃষক আত্মহত্যা করছেন।
ফরাসি কৃষকদের বিক্ষোভ দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তালের জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ। তিনি গত ২৬ জানুয়ারি কৃষি জ্বালানির উপর কর বৃদ্ধির পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছেন।
সতর্ক পপুলিস্টরা
সরকারের প্রতি কৃষকদের এই বিক্ষোভকে পপুলিস্ট পার্টিগুলো তাদের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারে এমন শঙ্কাও করছেন অনেকে।
বুখারেস্টের ন্যাশনাল স্কুল অব পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রভাষক ক্লদিউ ক্রাসিউন বলেন, “বিক্ষোভকে তারা শুধু ব্যবহার নয়, উস্কেও দিচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় আমি কয়েক মাস ধরেই খেয়াল করছি, কীভাবে কট্টর ডানপন্থি দলগুলো নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির বিক্ষোভের পোস্টগুলো শেয়ার করছে।”
তবে বিক্ষোভকারী কৃষকরা ডানপন্থিদের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না বলেও অভিমত ক্লদিউর।
রোমানিয়ার ডানপন্থি সেনেটর ডায়ানা সোসোকার ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী বুখারেস্টে ২১ জানুয়ারি বিক্ষোভ করার অনুমতি চেয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছে। এই খবর জানাজানি হলে, সেদিনের বিক্ষোভে ধরতে গেলে কেউই উপস্থিত হয়নি। বিক্ষোভে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ ও ১০০ ট্রাক্টরের জমায়েত হওয়ার অনুমতি ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এসেছিল মাত্র একটি ট্রাক্টর ও একজন কৃষক।
ইউরোপীয় পার্টিগুলি জুন মাসে অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচনের আগে কৃষকদের বিক্ষোভকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি ইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস (ইসিএফআর) পরিচালিত এক জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে ‘ডানপন্থিরা’ ব্যাপকভাবে জয়ী হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, ইইউবিরোধী পপুলিস্টরা নয়টি দেশের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশগুলো হল- অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া। একই সঙ্গে আরও নয়টি দেশে দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থান নিশ্চিত করতে পারে তারা।
টিকটক যখন হাতিয়ার
বুখারেস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিহনিয়া দুমিত্রু। নির্বাচনে ইন্টারনেটের প্রভাব নিয়ে তিনি পিএইচডি করেছেন। তার মতে, নির্বাচনে সোশাল মিডিয়া বড় নিয়ামক। কিন্তু কখনও কখনও এটি বিষাক্ত ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, “সোশাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলোতে নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে। ওই কোম্পানিগুলো এবং নাগরিক সমাজও মিথ্যা সংবাদ মোকাবেলার চেষ্টা করে না।”
ফেইসবুকের গোপন গ্রুপগুলো থেকে রোমানিয়ায় বর্ণবাদী প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এমনকি টিকটক ও ইউটিউবে যেসব ভিডিও কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে, তা আপাত হাস্যকর মনে হলেও, এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
রোমানিয়ায় সোশাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় টিকটক। ডেটা রিপোর্টালের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে দেশটিতে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭০ লাখ ৫৮ হাজার।
ইইউর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি টিকটক ব্যবহারকারী, প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ। এই সংখ্যা জার্মানিতে ২ কোটি ৯ লাখ এবং ইতালিতে ১ কোটি ৯৭ লাখ।
আন্দোলনের প্রভাব
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে ইউরোপে খাবারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইইউ’র পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ইউরোস্ট্যাট) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের মে মাসে ইউরোপের খাদ্য ও পানীয়ের মূল্য সূচক ছিল ১২২ দশমিক ৬, যা ২০২১ সালের মে মাসে ছিল ১০০। এর মানে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপের খাবারের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
চলমান কৃষক আন্দোলনের ফলে স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থবিরতা তৈরি হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এতে ওই অঞ্চলে খাবারের দাম আরও বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, ফ্রান্সইনফো, ইউরোস্ট্যাট