Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের শহরে শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ  

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শনিবার নিউ ইয়র্ক শহরে বিক্ষোভ হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শনিবার নিউ ইয়র্ক শহরে বিক্ষোভ হয়।
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র পাঁচদিন। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে দেশটির প্রধান প্রধান শহরে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বপ্রান্তের শহর নিউ ইয়র্ক থেকে পশ্চিমের শহর সিয়াটলে হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনে হতাশা প্রকাশ করে এই বিক্ষোভ করেন।

রিপাবলিকান পার্টির এই নেতার নারীর প্রজনন স্বাধীনতা খর্ব করার হুমকি এবং দুই মাস পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অঙ্গীকার তাদের এই বিক্ষোভের মূল কারণ।

গত ৫ নভেম্বর মঙ্গলবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পান ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ৩১২টি পান তিনি।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পান ২২৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটেও সেদিন ডেমোক্র্যাটদের হারিয়ে দেন রিপাবলিকানরা।

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের পুনরায় ফেরা নিয়ে রিপাবলিকান শিবিরসহ যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও মানবাধিকার বিভিন্ন সংগঠন এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে অভিবাসন, গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান নিয়ে তারা চিন্তিত।

মানবাধিকার বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিউ ইয়র্ক, সিয়াটলসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে শনিবার হাজারো মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হয়, যাদের অধিকাংশই নারী।

নিউ ইয়র্ক শহরে এদিন ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরা। নারী ও শ্রমিক অধিকার, অভিবাসীদের ন্যায় বিচার নিয়ে মূলত এসব সংগঠন কাজ করে।

তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার জন্য নারীদের আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে?’, ‘আমরা হার মানব না’।

এসব প্ল্যাকার্ড নিয়ে অভিবাসীদের পক্ষে তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আমরা এখানে আছি, কোথাও যাচ্ছি না।’

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতেও একই ধরনের প্রতিবাদ দেখা যায়। সেখানে ডানপন্থীদের গবেষণা সংস্থা হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভ করে উইমেন্স মার্চ নামের একটি সংগঠন।

বিক্ষোভ সমাবেশে ‘তুমি কখনও একা নও’, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, তাহলে আমার স্বাধীনতা কোথায়?- এ ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে নারীরা স্লোগান দেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা জিতব।’

পৃথিবীব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ মিছিল।

সিয়াটলে আইকনিক স্থাপনা স্পেস নিডলের বাইরে বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ট্রাম্প ও দ্বিদলীয় যুদ্ধ যন্ত্রের বিরুদ্ধে পদযাত্রা ও র‌্যালি।’

তাদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘গণআন্দোলন গড়ে তোল এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই কর!’

স্পেস নিডলের বাইরে সমবেত জনতার উদ্দেশে এক বিক্ষোভকারী বলেন, “যেই প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা কেউই শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করে না।”

এর আগের দিন শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরে সিটি হলের বাইরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর’, ‘ভয়কে শক্তিতে পরিণত কর’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীদের সেদিন সমাবেশে দাঁড়াতে দেখা যায়।

সমাবেশে যোগ দেওয়া সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল লিগ অব পিপলস স্ট্রাগলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রধান কোডি আরবান বলেন, “বছরের পর বছর আমরা স্বাস্থ্য, আবাসন ও শিক্ষার অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করে যাওয়ার কারণে আজ এখানে এসেছি।

“ডোনাল্ড ট্রাম্প বা জো বাইডেন যিনিই ক্ষমতায় বসুন, আমরা কখনও তাদের শাসনামলে এসব মৌলিক অধিকার পাইনি। এটা বোঝানোর জন্য আমরা চাপ দিতে থাকব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত