পিএসজি ০ : ১ ডর্টমুন্ড
(দুই লেগ মিলিয়ে ডর্টমুন্ড এগিয়ে ২-০)
এবারও হল না পিএসজির। মেসি,এমবাপ্পে, নেইমারদের নিয়ে তারা পারেনি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে। পারল না এমবাপ্পের শেষ মৌসুমেও। নিজেদের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই ছিটকে গেল পিএসজি। ৫০তম মিনিটে একমাত্র গোলটি ম্যাটস হামলেসের।
প্রথম লেগে ডর্টমুন্ড জিতেছিল ১-০ গোলে। দু্ই লেগ মিলিয়ে তাদের অগ্রগামিতা ২-০ ব্যবধানে। তাতে ১১ বছর পর আরও একবার ফাইনালে জার্মান ক্লাবটি। ওদিকে ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে ভাঙা হৃদয় নিয়ে শেষ হল এমবাপ্পের চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিযান। এখন নতুন ক্লাবে যদি ভাগ্যটা বদলায় তার!
ডর্টমুন্ড সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল ২০১২-২০১৩ মৌসুমে। ওয়েম্বলিতে হেরেছিল জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে। এবারও বায়ার্ন টিকে আছে ফাইনালের লড়াইয়ে। আজ (বুধবার) রিয়ালকে হারালে ১১ বছর পর সেই ওয়েম্বলিতে হতে পারে আরও একটা ডর্টমুন্ড-বায়ার্ন ফাইনাল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ডর্টমুন্ড নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি জিতেছিল ১৯৯৭ সালে। মিউনিখের ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ইতালির জুভেন্টাসকে।
এবার জার্মান কাপে ডর্টমুন্ড বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোয়। বুন্দেসলিগায় আছে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে। সেই তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পৌঁছানোটা বিস্ময়ের। কোচ এডিন টেরজিচের সন্তুষ্টি, ‘‘ছেলেদের নিয়ে আমার গর্ব হচ্ছে। আমরা পিএসজিকে হারিয়েছি আর দুই লেগে নিজেদের জাল সুরক্ষিত রাখতে পেরেছি। ভাগ্য আমাদের কিছুটা সাহায্য করেছে, তবে আমরা ফাইনাল খেলার দাবিদার।’’
নিজেদের মাঠে প্রায় ৭০ শতাংশ বলের দখল রেখে ডর্টমুন্ডের পোস্টে ৩০টি শট নিয়েছিল পিএসজি। এর চারটি ফিরে পোস্টে লেগে! তাই তৃতীয়বার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিল তারা, ২০২০ সালে হেরেছে ফাইনালেও।.
পিএসজির একের পর এক মিসে ৫০তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন হামলেস। কর্নার থেকে আসা বলে হেডে জাল খুঁজে নেন ৩৫ বছর বয়সী জার্মানি এই ডিফেন্ডার।
সেমিফাইনালে তার চেয়ে বেশি বয়সে গোলের কীর্তি আছে কেবল রায়ান গিগস (৩৭ বছর ১৪৮ দিন, ২০১১ সালে) ও এদিন জেকোর (৩৭ বছর ৫৪ দিন, গত মৌসুমে)। সেই গোলের আগে-পরে অসাধারণ রক্ষণে পিএসজিকে আটকে দেন তারা। এখন ডর্টমুন্ড অপেক্ষায় ১ জুনের ফাইনালেও হলুদ ঢেউ তোলার।