ডেভিড ওয়ার্নার টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে- অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিংয়ে তার জায়গা পূরণ করবেন কে? বাইরের অনেক গুঞ্জন-আলোচনার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) থেকে জানানো হয়, পজিশন পাল্টে ওপেনিংয়ে নামবেন স্টিভেন স্মিথ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্ত মোটেও পছন্দ হয়নি ম্যাথু হেইডেনের। তার মতে, স্মিথকে ওপেনিংয়ে নামানো ‘পাগলামি’ ছাড়া কিছু নয়।
টেস্ট ক্রিকেটে তিন অথবা চার নম্বরে সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং করেছেন স্মিথ। কিন্তু ওয়ার্নারের অবসরের পর ওপেনিংয়ে ‘প্রমোশন’ পেয়ে যান তিনি। ডানহাতি ব্যাটার নতুন দায়িত্ব নিতে মুখিয়ে ছিলেন। তার একসময়কার সতীর্থ ও অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক তো বলেই ফেলেন, লারার ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন ওপেনার স্মিথ।
তবে বাস্তবতা দেখাল অন্য চিত্র। তিন-চার নম্বরে রানের বৃষ্টি ঝরানো স্মিথ যেন ব্যাট করতেই ভুলে গেলেন। এ বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ওপেনিংয়ে অভিষেক স্মিথের। এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই ভূমিকায় খেলেছেন আরও দুই টেস্ট।
সব মিলিয়ে ওপেনিংয়ে খেলা ৮ ইনিংসে ১২ কিংবা তার নিচে আউট হয়েছেন ছয়বার। পেয়েছেন একটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি, ব্রিসবেনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংস।
তিন কিংবা চার নম্বরে যার ব্যাটে রানের ফোয়ারা, সেই ব্যাটারকে ওপেনিংয়ে নামানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন না হেইডেন। ভারতে এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার বলেছেন, “স্টিভেন স্মিথের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, যখন তার টেস্ট গড় ৬৫ (আসলে ৫৭)। যার রয়েছে ৩২টি টেস্ট সেঞ্চুরি।”
সঙ্গে যোগ করেন, “কিন্তু ওপেনিং ব্যাটার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আর সেটা বুঝতে খুব একটা সময়ও লাগেনি। দেশের বাইরে চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন, যেটা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ছিল, ওই জায়গায় ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করা ভীষণ কঠিন ছিল (স্মিথের জন্য)।”
তিন নম্বরে স্মিথের গড় ৬৭.০৭। চার নম্বরে সেটি ৬১.৫০। সেখানে ওপেনিংয়ে তার গড় ২৮.৫০। এই পরিসংখ্যানে চোখ রেখে হেইডেন স্পষ্টই বলেছেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, পরিসংখ্যানও যেটি বলছে… এই (স্মিথের ব্যাটিং অর্ডারের) পরিবর্তনটা আমার পছন্দ হয়নি। আমার মতে, এটা পাগলামি। একটা নির্দিষ্ট পজিশনের বিশ্বসেরা ব্যাটারের ব্যাটিং অর্ডার আপনি পুরোপুরি পাল্টে দিচ্ছেন। আমার কাছে এটা পাগলামি।”