Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

প্রশ্নফাঁস : আটকে গেল প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ

high court
[publishpress_authors_box]

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভাইভাসহ নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য সার্কুলার হয়। গত ২৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশ নেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষা চলাকালেই উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা হয়। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীও দেন।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রকাশের পরও গত ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়।

এ ঘটনার পর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করেন জুয়েল রতন দাসসহ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৫ পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস।

সায়েদুল হক সুমন বলেন, এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ডিবি পুলিশ অনেককেই গ্রেপ্তার করে। তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকারও করে নেয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনও অনুসন্ধান তো দূরের কথা, কিছুই করেনি। বরং তারা এত বড় ঘটনা অগ্রাহ্য করে সামনে এগিয়ে গেছে এবং ভাইভাও নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এখন আমাদের বক্তব্য হলো, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা দিবালোকের মত পরিস্কার। অথচ সেই ঘটনার কেউ তদন্তও করল না। আমাদের ধারণা এই ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। এজন্য আদালতে আমরা রিট আবেদন করি।”

আদালত শুনানি শেষে মৌখিক পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী। সেইসঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত