Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

শ্রমিক অসন্তোষে ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, বাতিল বিজিএমইএ পর্ষদ

ss-BGMEA-logo-201024
[publishpress_authors_box]

পোশাকশিল্পে চলমান শ্রম অসন্তোষ নিয়ে কার্যকর ভূমিকা না রাখায় এ খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন ) মো. আবদুর রহিম খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক নিয়োগ পাওয়া প্রশাসককে ১২০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচিত পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। 

মো. আনোয়ার হোসেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বেশ কয়েকটি বাণিজ্য সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বিজিএমইএর সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মান্নান কচি। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

এরপর গত ২৪ আগস্ট বিজিএমইএর সভাপতির দায়িত্ব পান সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। তার দায়িত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ ছিল বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যদের মধ্যে। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি অভিযোগ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে।

বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পর্ষদ ভেঙে দেওয়া নিয়ে ব্যবসায়ী ফয়সাল সামাদের সঙ্গে কথা বলেছে সকাল সন্ধ্যা। বিজিএমইএর গত নির্বাচনে তিনি ছিলেন এস এম মান্নান কচির প্রতিদ্বন্দ্বী।

ফয়সাল সামাদ বলেন, “এটা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের সকল কিছু যদি রিফরমেশনের মধ্যে দিয়ে যায়, সেখানে বিজিএমইএ রিফর্ম করা জরুরি। সেই হিসাবে এ সিদ্ধান্ত একটি বেঞ্চমার্ক হিসেবে থাকবে।”

বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। হোয়াটস অ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তারা জবাব দেননি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত