ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে আগামী চার দিন কারফিউ শিথিল থাকবে ১৩ ঘণ্টা করে।
বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এসব জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ও কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করেন সাত মন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছিলাম। সভায় আমরা সারা দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছি।”
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দিলে গত ১৯ জুলাই কারফিউ বা সান্ধ্য আইন জারি করে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করে সরকার।
সহিংস পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিচ্ছিন্ন হয় ইন্টারনেট সেবা। এই সময়ে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও কাজ সম্পন্ন করতে প্রতিদিনই কিছু সময় করে কারফিউ শিথিল রাখা হয়। ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় কারফিউ শিথিলের সময়।
সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।”