কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি, পুলিশ ও ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের তারা আটকে দেয়। এসময় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় হাইকোর্ট দেওয়ার পর এই মাসের শুরু থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে ঢাকার শাহবাগে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি চলছিল, এখন বিভিন্ন জেলায়ও সড়কে নেমে বিক্ষোভ করছে কোটাবিরোধীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ। সেখানে আপিল বিভাগের আদেশের পর জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি না দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানানো হয়। সংগঠনটি বলেছে, আদালতেই কোটার বিষয়টি মীমাংসা হবে বলে তারা আশা করছে।
একই দিন বিকালে রংপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলাম। মিছিল নিয়ে বের হলে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা আমাদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”
এর আগে প্রক্টরিয়াল বডি, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামিম আন্দোলন না করার ‘নির্দেশ দেন’ বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
বেরোবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতির বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে আগে কথা বলেছি। বলেছি, এটি আদালতের বিষয়। নির্বাহী বিভাগের কাছে কিছু নেই। আন্দোলনকারীরা যে হাতাহাতির কথা বলেছেন সেটি প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে কথা বলার সময় অতর্কিত হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
রংপুরের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সরকার শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন। তারা যেন সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে সেজন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি।”