Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

রামপুরা-উত্তরা রণক্ষেত্র : গুলিতে গেল দুই প্রাণ

বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ব্র্যাকসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ব্র্যাকসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কার দাবিতে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এবং উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝে গুলিতে এক গাড়িচালকসহ দুইজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী, পুলিশ ও পথচারীসহ অনেক সাধারণ মানুষ।

বাড্ডা-রামপুরায় আহতরা ফরাজী হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কোটা সংস্কার দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাড্ডা-রামপুরা ও উত্তরা এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই এলাকাই রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রামপুরা ব্রিজের কাছে গুলিবিদ্ধ হন গাড়িচালক দুলাল মাতবর ।

বাড্ডা-রামপুরায় ব্র্যাকসহ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। উত্তরার কর্মসূচিতেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছেন। তাদের সঙ্গে আছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

উত্তরায় নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। রামপুরায় নিহত দুলাল মাতবরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগ তার পরিচয় ও মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী, পুলিশ ও পথচারীসহ অনেক সাধারণ মানুষ।

রামপুরার ফরাজী হাসপাতাল হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার পিয়াল হাসান রুবেল সকাল সন্ধ্যাকে জানান, দুলাল মাতবরকে তারা মৃত অবস্থায় হাসপাতালে পেয়েছেন। তার ছেলেরা হাসপাতালে এসেছিলেন। তারা মৃতদেহ নিয়ে গেছেন।

দুলাল মাতবরের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান ফরাজী হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার পিয়াল হাসান রুবেল।

দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, তার বাবা মারা গেছেন। এর বেশি কিছু বলেননি তিনি।

পিয়াল হাসান রুবেল আরও জানান, ফরাজী হাসপাতালে দুই শতাধিক আহত মানুষ এসেছেন। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী, পুলিশ ও সাধারণ মানুষও রয়েছেন। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “একজনকে আনা হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। আমরা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি তিনি মৃত। তার মৃত্যু হয়েছে গুলিতে।”

উত্তরায় সংঘর্ষে আহত অনেকে বেসরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, “অসংখ্য মানুষ এই হাসপাতালে এসেছে। আমরা প্রথম দিকে তালিকা করতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তালিকা আর করা যায়নি। বেশিরভাগ মানুষ এসেছে ছররা গুলিতে আহত হয়ে। অনেকে অসুস্থ হয়েছে কাঁদুনে গ্যাসে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত