প্যারিস অলিম্পিকে রবিবার অংশ নেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী রবিউল ইসলাম। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশ নিলেও ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন তিনি। বাদ পড়েছেন বাছাইপর্বেই। ৪৯ জন প্রতিযোগির মধ্যে ৪৩তম হয়েছেন তিনি। তাঁর স্কোর ৬২৪.২।
ঢাকা ছাড়ার আগে রবিউল বলেছিলেন অন্তত ৬৩০ পয়েন্ট স্কোর করতে পারলে বাছাই পর্ব পার হতে পারবেন। কিন্তু কোথায় কি? রবিউল নিজের ক্যারিয়ার সেরা স্কোরও করতে পারেননি। ৬টি সিরিজে তার স্কোর অনেকটাই হতাশা জাগানিয়া-১০৫.৫, ১০৩.২, ১০৩.৫, ১০৩.৪, ১০৪.৭ ও ১০৩.৯। সব মিলিয়ে তার স্কোর ৬২৪.২।
এটাই রবিউলের ছয় সিরিজের স্কোর।
105.5 | 103.2 | 103.5 | 103.4 | 104.7 | 103.9 |
বাছাই পর্ব থেকে সেরা ৮ জন শুটার ওঠেন চূড়ান্ত পর্বে। এর মধ্যে অষ্টম হয়ে ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়ার পিটার গোরসার পয়েন্ট ৬২৯.৮।
বাছাইপর্বে শীর্ষে থাকা চীনের লিহাও শেংয়ের স্কোর ৬৩১.৭, দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনার মার্সেলো হুলিয়ান গুতিরেজের স্কোরও তাই।
ওদিকে মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন ভারতের মনু ভাকের। প্যারিস অলিম্পিক থেকে ভারতকে প্রথম পদকটি এনে দিলেন তিনি। মাত্র ০.১ পয়েন্টের জন্য রুপা হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। মনুকে নিয়ে পদকের প্রত্যাশা ছিল ভারতের প্রথম থেকেই। সেই প্রত্যাশায় এ বারের অলিম্পিকে পদক এনে দিলেন মনু। ভারতের প্রথম মহিলা শুটার হিসাবে অলিম্পিক পদক পেলেন মনু।
মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ও ইয়ে জিন। তাঁর স্কোর ২৪৩.২। রুপা জেতেন দক্ষিণ কোরিয়ারই কিম ইয়েজি। তাঁর স্কোর ২৪১.৩। মনুর লড়াই শেষ হয় ২২১.৭ স্কোরে। শেষ দুই শটের আগে ইয়েজির স্কোর ছিল ২২১.৮। ফলে ০.১ স্কোরের ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ায় ব্রোঞ্জ পেলেন মনু। শেষ শটে মনু স্কোর করেন ১০.৩। সেই শটে ইয়েজি স্কোর করেন ১০.৫। কোরিয়ার শুটার ১০.২ স্কোর করলেও রুপা জিততে পারতেন মনু। তার হাত ধরেই মূলত শুটিংয়ে অলিম্পিকে ভারতের ১২ বছরের পদক খরা কাটল।