সাঁতারে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সর্বশেষ সোনার পদক জিতেছিল বাংলাদেশ ২০১৬ সালে। এরপর ৮ বছরে কোনও পদক আসেনি। এসএ গেমসেই যেখানে সোনার পদক জিততে ঘাম ঝরে যায় বাংলাদেশের সাঁতারুদের সেখানে এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস বা বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে পদকের সম্ভাবনা কখনও থাকে না। সাঁতারুদের নিজের টাইমিংয়ের উন্নতিই থাকত মূল লক্ষ্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য বেশ সুখকর।
দুই দিন আগে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে সামিউল ইসলাম রাফি ০৪.৭৮ সেকেন্ড কমিয়েছেন। যা ছিল চমক। বৃহস্পতিবার ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে কমিয়েছেন ১.৭ সেকেন্ড। এই ইভেন্টে তার ২৬.৭৯ সেকেন্ড টাইমিং ছিল জাতীয় রেকর্ড। গত নভেম্বরে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রাফি এটা করেছিলেন। এ দিন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে করেছেন ২৫.০৯ সেকেন্ড।
রাফির মতো জাতীয় রেকর্ড টপকেছেন আরেক সাঁতারু যুথী আক্তার। ৫০ মিটার মেয়েদের ব্যাকস্ট্রোকে এবার জাতীয় সাঁতারে ৩২.৭৪ টাইমিংয়ে রেকর্ড করেছিলেন। এবার বুদাপেস্টে যুথীর টাইমিং ৩১.৯৪ সেকেন্ড।
দুই জনই এই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দুই ইভেন্টে নিজেদের ব্যক্তিগত ও জাতীয় রেকর্ডের চেয়ে সময় কমিয়েছেন। তবে বিশ্ব মানদণ্ডে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ৫৮ জনের মধ্যে যুথীর অবস্থান ৫০তম আর রাফি ৫৫ জনের মধ্যে ৪৮ তম।
এর মধ্যে খানিকটা আশার আলো রাফির ইভেন্টে দক্ষিণ এশিয়ান প্রতিযোগি ভারতীয় সাঁতারু মাত্র দুই ধাপ এগিয়ে ৪৬ আর যুথির ইভেন্টে শ্রীলঙ্কান সাঁতারু এক ধাপ উপরে ৪৯ তম। দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই দুই জনের এই দুই ইভেন্টে সাফে সোনা জেতা সম্ভব।