লা লিগার ফল
বার্সেলোনা ৭ : ০ ভায়াদোলিদ
বিলবাও ০ : ১ আতলেতিকো
এস্পানিওল ২ : ১ ভায়াকানো
ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন রাফিনিয়া। গোলের ‘নেশা’ পেয়ে বসা বার্সেলোনার হয়ে লক্ষ্যভেদ করলেন রবার্ট লেভানদোস্কি, দানি ওলমো, জুলস কুন্দে আর ফেরান তোরেস। লামিনে ইয়ামাল দুটি অ্যাসিস্ট করে লিখলেন নতুন ইতিহাস। ছন্দময় হৃদয়কাড়া ফুটবল আর চোখ জুড়ানো সব গোলে শনিবার রাতে ৭-০ গোলে বার্সা বিধ্বস্ত করল রিয়াল ভায়াদোলিদকে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চে ওসাসুনার বিপক্ষে ৭ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। আর লা লিগায় ২০১৬ সালের এপ্রিলে দেপোর্তিভো লা করুনাকে হারিয়েছিল এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে (৮-০)।
হ্যাটট্রিকম্যান রাফিনিয়া খুশি নিজের ও দলের পারফর্ম্যান্সে। লা লিগায় টানা চতুর্থ জয়ে ১২ জয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করার পর রাফিনিয়া বললেন এই মৌসুমে আর নতুন খেলোয়াড়ের দরকার নেই, ‘‘আমরা দেখিয়েছি আর নতুন কাউকে কেনার দরকার নেই। জানি না এটা আমার সেরা ম্যাচ কিনা তবে সেরাগুলোর অন্যতম। ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকে সন্তুষ্ট আমি। দলকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লাগছে।’’
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৭০.৫ শতাংশ বলের দখল রেখে বার্সেলোনা পোস্টে শট নিয়েছিল২৩টি, লক্ষ্যে ছিল ১১টি। ২০তম মিনিটে পাউ কুবারসির কাছ থেকে বলে পেয়ে গোলের শুরু করেন রাফিনিয়া। ইয়ামালের পাস থেকে ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেভানদোস্কি।
বিরতির ঠিক আগে কুন্দের গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সা। ৬৪ মিনিটে লেভানদোস্কির অ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাফিনিয়া। আর হ্যাটট্রিক করেন ইয়ামালের পাস থেকে ৭২ মিনিটে।
মাঠের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দৌড়ে অসাধারণ পাসে একটা রেকর্ডও গড়ে ফেলেন ১৭ বছরের ইয়ামাল। লা লিগায় এটা তার অষ্টম অ্যাসিস্ট। লা লিগায় ৪২ ম্যাচে ১৪ গোলে সংশ্লিষ্টতা তার (৬ গোল ৮ অ্যাসিস্ট)। একুশ শতকে বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে এমন রেকর্ড নেই কারও। বোহান কিরকিচের সংশ্লিষ্টতা ছিল ১৩ গোলে।
৮২ মিনিটে দানি ওলমো আর ৮৫ মিনিটে বার্সার অপর গোলটি করেন ফেরান তোরেস। এই ম্যাচে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয়েছে ১৯ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাক সার্জি দমিনগুয়েজের। হানসি ফ্লিক কোচ হওয়ার পর এ নিয়ে খেলালেন নতুন চার জনকে। নিকো উইলিয়ামসকে আনারও গুঞ্জন ছিল শুরু থেকে। তবে এই স্প্যানিয়ার্ড না বলে দিয়েছেন বার্সােকে।এজন্যই হয়তো রাফিনিয়া বলেছেন, ‘‘নতুন আর কাউকে লাগবে না।’’
লা লিগার অপর ম্যাচে আনহেল কোররেয়ার ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটের গোলে আতলেতিকো মাদ্রিদ ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যাথলেতিক বিলবাওকে। এস্পানিওলও ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে করা ভেলিজের গোলে রায়ো ভায়াকানোকে হারিয়েছে ২-১ ব্যবধানে।