গ্যালারিতে দর্শকেরা নড়েচড়ে বসারও সময় পেলেন না। তার আগেই গোল উদযাপনে মাতোয়ারা বার্সেলোনা। কিন্তু খেলায় ফিরতে সময় লাগেনি বায়ার্ন মিউনিখের। শুধু সমতায় ফেরেনি জার্মান ক্লাবটি, একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে তুলেছিল কাতালানদের। যদিও রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ফিকে হয়ে যায় বায়ার্নের দাপট। এই ব্রাজিলিয়ানের হ্যাটট্রিকে ৯ বছর বাভারিয়ানদের হারিয়েছে বার্সেলোনা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতে এগিয়ে যাওয়া কাতালানদের চেপে ধরেছিল সফরকারীরা। তবে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত ফুটবলে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল হান্সি ফ্লিকের দল। লিগ পদ্ধতির ইউরোপসেরার লড়াইয়ে ৩ ম্যাচে এখন ৬ পয়েন্ট বার্সেলোনার।
এই ম্যাচেই আগে ঘুরেফিরেই আসছিল ২০২০-২১ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ কথা। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। আবারও যখন বার্সেলোনার মাঠে আতিথ্য নিতে যাচ্ছিল জার্মান ক্লাবটি, তখন ওই স্মৃতি সামনে আসা স্বাভাবিক। সেটা আরও বেশি করে আসছিল ফ্লিক সেসময় বায়ার্নের কোচ ছিলেন বলে। ৪ বছর আগের মতো এবারও জয়ের হাসি ফ্লিকের। পার্থক্য শুধু এবার বার্সেলোনার ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে দেখলেন বায়ার্নের আত্মসমর্পণ।
এরই সঙ্গে শেষ হলো বার্সেলোনার বায়ার্ন-হাহাকারের অধ্যায়। টানা ছয় হারের পর প্রথমবার জার্মান ক্লাবের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখল তারা। ২০১৫ সালের মে মাসের পর বাভারিয়ানের বিপক্ষে জয়ের হাসি হাসল কাতালানরা, সেটাও এক জার্মান কোচের অধীনে। অন্যদিকে নিজেদের ইতিহাসে এবারই প্রথমবার টানা তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হারল বায়ার্ন। গত মৌসুমে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল হার দিয়ে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। এরপর এবারের মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলার পর হারল বার্সেলোনার মাঠে।
ঘরের মাঠে মাত্র ৫৪ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে গোলের খাতা খোলেন রাফিনিয়া। যদিও ১৮ মিনিটে বায়ার্ন সমতায় ফেরে হ্যারি কেইনের লক্ষ্যভেদে। ভলিতে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
পরের সময়টা বার্সেলোনার। বিরতিতে যাওয়ার আগেই এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। ৩৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন রবার্ত লেভানদোভস্কি। আর ৪৫ মিনিটে দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া। বিরতি থেকে ঘুরে এসে ৫৬ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পূরণ করেন হ্যাটট্রিক।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় রাফিনিয়া। তার আগে বাভালিয়ানদের বিপক্ষে তিনবার জাল খুঁজে নিয়েছিলেন রয় ম্যাকে (২০০২), সের্হিয়ো আগুয়েরো (২০১৪) ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (২০১৭)।