নভেম্বর মাসে শেষ হওয়া ৩৩তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা সাঁতারু হওয়ার পর সামিউল ইসলাম রাফি বলেছিলেন, “নিজের সেরা টাইমিং টপকে যেতে চাই বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে।”
প্রতিশ্রুতি রেখেছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই সাঁতারু। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে চলমান বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে মঙ্গলবার ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে অংশ নেন রাফি। সেখানে রাফি টাইমিং করেছেন ৫৪.৩৭ সেকেন্ড।
এর আগে গত নভেম্বরে এই ইভেন্টে তিনি করেন ৫৯.১৫ সেকেন্ড। এর মানে এবার রাফি এই ইভেন্টে ০৪.৭৮ সেকেন্ড কমিয়েছেন।
২০২৩ সালে রাফি জাতীয় সাঁতারে টাইমিং করেন ৫৮.৪৫ সেকেন্ড। টাইমিং নির্ভর সাঁতারে ১ সেকেন্ড কমানো অনেক বড় ব্যাপার। সেখানে রাফি প্রায় চার সেকেন্ড কমিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স নিশ্চয় প্রশংসার দাবিদার।
হাঙ্গেরিতে কোচ হিসেবে যাওয়া ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া বলেন, “রাফি অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। বিশ্ব সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় প্রতিযোগিতার চেয়ে টাইমিং অনেক কম করেছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।”
টাইমিংয়ে উন্নতি করলেও সামগ্রিক ফলাফলে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই রাফি। এই ইভেন্টে ৫৪ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বাংলাদেশের রাফির অবস্থান ৪৬ তম।
কিন্তু রাফির ঠিক ওপরেই অবস্থান ভারতের সাঁতারু আকাশ মনি। তিনি ৪৫তম হয়েছেন। আকাশের টাইমিং ৫৪.০৫ সেকেন্ড।
তাই রাফির টাইমিংয়ের মধ্যে সম্ভাবনা খুঁজে বের করছেন ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ রেজাউল হোসেন বাদশা, “ভারতের প্রতিযোগির সঙ্গে রাফি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। ভারতের সাঁতারুর চেয়ে মাত্র ০.৩২ সেকেন্ড পিছিয়ে। রাফির পক্ষে এই ইভেন্টে এসএ গেমসে সোনা জেতা সম্ভব।”
যদিও ২০১৯ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ এসএ গেমসে এই ইভেন্টে সোনা জয়ী ভারতের শ্রীহরি নটরাজের টাইমিং রাফির চেয়ে অনেক কম। কাঠমান্ডুতে নটরাজ করেন ৫৩.৬৫ সেকেন্ড।
থাইল্যান্ডে বর্তমানে উন্নত প্রশিক্ষণে আছেন রাফি। এই অনুশীলন চলমান থাকলে এসএ গেমসে রাফির কাছ থেকে ভালো ফল আশা করা যেতেই পারে।
মঙ্গলবার রাফির পাশাপাশি মেয়েদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে অংশ নেন যুথি আক্তার। তিনি ৬৩ জনের মধ্যে ৬০ তম হয়েছেন। ব্যক্তিগত টাইমিংয়ে উন্নতি হয়েছে তারও। দেশে এই ইভেন্টে যুথির টাইমিং ছিল ১ মিনিট ১১.৮৩ সেকেন্ড। এবার হাঙ্গেরিতে হয়েছে ১ মিনিট ১১.২৫ সেকেন্ড।
১২ ডিসেম্বর রাফি ও যুথি দুই জন ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে অংশ নেবেন।