‘মাস্টারপ্ল্যানের’ অংশ হিসেবে মাঝরাতে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাতে বিএনপি কার্যালয়ে ডিবির অভিযানের পর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদে নেতৃত্বে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চলে।
অভিযান শেষে ডিবিপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ডিবি পুলিশ কয়েকদিন যাবত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে শতাধিক হাতবোমা, চার বোতল পেট্রোল, বিপুল পরিমাণ লাঠিসোটা ও ৫-৭টি দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে।”
এ ছাড়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রণকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ৮-১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।
পরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী দাবি করেন, এই অভিযানের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, গুলি ফোটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “একটি বাহানা তৈরি করে এরপর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক লাঠিসোটাসহ নানা কিছু জনগণের সামনে তুলে ধরতে চায়।”
বিএনপির কার্যালয়ে ডিবির এই অভিযানে তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে রিজভী বলেন, “ডিবি পুলিশের এটা করা মানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা বার্তা দেওয়া যে, তারা যেন ভয় পেয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন শূন্য,নেতাকর্মীরা যখন ঘুমাচ্ছিল, তাহলে মাঝরাতে কেন এই অভিযান? কারণ শূন্য কার্যালয়ে যেকোনো চক্রান্ত আঁটা যায়।”
“এর আগেও ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ বিস্ফোরক নিয়ে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছিল,” বলেন রিজভী।
