Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

মধ্যাঞ্চলেও বন্যার শঙ্কা

ss-flood-sylhet-20-6-24 (7)
Picture of জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

উজানে থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে আর বৃষ্টিতে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সোমেশ্বরীর পানি উপচে প্লাবিত হয়ে পড়েছে সিলেট অঞ্চল। উজানে বৃষ্টির মাত্রা বাড়ায় পানির প্রবাহ বেড়েছে পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রতেও। তাই দেশে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়লে বন্যা হতে পারে মধ্যাঞ্চলেও।

তবে উজানে ভারী বৃষ্টি না হলে সিলেট অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী এবং উত্তরাঞ্চলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এই ছয়টি নদীর পানিতে সিলেট, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

সিলেটের কানাইঘাটে সুরমা নদী বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা মারকুলিতে ৩০ সেন্টিমিটার, মৌলভীবাজারে মনু নদী বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার, বাল্লায় খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

এসব নদ-নদীর পানি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র) সরদার উদয় রায়হান।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে গেলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি তেমন হয়নি। সুরমার পানিও কমতে শুরু করেছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমছে। তাই ভারী বৃষ্টি না হলে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আগামী কয়েক দিনে অবনতি হওয়ার শঙ্কা নেই।”

তবে পদ্মা, যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা হতে পারে বলে জানান সরদার উদয় রায়হান। তিনি বলেন, “তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই পদ্মা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্রর পানি বেড়ে দেশের মধ্যাঞ্চলের নদী-তীরবর্তী এলাকায় বন্যা হতে পারে।”

তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে বন্যা হয় ভারতের আসাম, মেঘালয়, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হলে। তাই দেশের মধ্যাঞ্চলে চলতি জুন মাসে বন্যা না-ও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. বজলুর রশিদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বাংলাদেশে ভারি বৃষ্টি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে ৫ শতাংশ। মূলত উজানে বৃষ্টির পানির ঢলেই এদেশে বন্যা দেখা দেয়। তাই দেখতে হবে ভারতের আসাম-মেঘালয়ে বৃষ্টি বাড়ছে কিনা।”

গত কয়েকদিন ধরে রংপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হয়ে ওঠায় বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশেই বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানান বজলুর রশিদ।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ও শনিবারসহ আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

গত কয়েক দিনে বৃষ্টি কম-বেশি হলেও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জন্য খুলনা বিভাগ ছাড়া দেশের বাকি অঞ্চলে তাপমাত্রা কমে এসেছে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ৭৮ মিলিমিটার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত