Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বৃষ্টির প্রবণতা থাকতে পারে পাঁচদিন

ফাইল ছবি।
ফাইল ছবি।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃহস্পতিবার সারাদেশেই হয়েছে বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে বৃষ্টির প্রবণতা।

বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠের পর আষাঢ় মাসেও প্রায় বৃষ্টিহীন ছিল দেশের দক্ষিণাঞ্চল। কয়েক দফা তীব্র দাবদাহ বয়ে যায় এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে। তবে গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে সিলেট অঞ্চলেও।

এতে সেখানকার নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে। তবে তা বন্যায় রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আপাতত দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দু’দিন টানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়তে পারে। এসময় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় নদী মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, কর্ণফুলী ও মাতামুহুরীর পানিও দ্রুত বাড়তে পারে।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় হাকিম সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বৃষ্টির কারণে দেশের সব নদ-নদীর পানিই বাড়ছে। দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হলেও সেখানকার নদীগুলো দিয়ে পানি নেমে যাচ্ছে। গঙ্গার পানি বাড়লেও বন্যার ঝুঁকি আপাতত দেখছি না।”

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টির রেশ আরও দু’দিন থাকতে পারে।

গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় পটুয়াখালী জেলার খেপুপাড়ায়, ১৩৮ মিলিমিটার।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১২৯, যশোরে ১০৮, কক্সবাজারে ১১৫, সন্দ্বীপে ১৩৫, কুতুবদিয়া ১০৯, সীতাকুণ্ডে ৯৬, বান্দরবানে ৮৫ ও পটুয়াখালীতে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।

এসময় ঢাকায় ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। আর বিভাগীয় শহরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ২৬, ময়মনসিংহে ১১, সিলেটে ২১, চট্টগ্রামে ৫২, খুলনায় ৪২ এবং বরিশালে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ থেকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

মৌসুমি বায়ুর এই সক্রিয়তার কারণে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় বৃহস্পতিবার অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী পাঁচদিন বৃষ্টির এই প্রবণতা থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাফিজুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। তবে দক্ষিণাঞ্চলসহ উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হবে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমতে পারে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত