টানা চার ম্যাচ জিতে জয়পুরে গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। শুরুতে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৯৬ রানের বড় স্কোরও গড়ে তারা। রায়ান পরাগ ৭৬ ও সঞ্জু স্যামসন করেন ৬৮।
বড় সেই স্কোর তাড়া করে শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস ৩ উইকেটের জয় পায় গুজরাট টাইটানস। অধিনায়ক শুভমান গিল ৪৪ বলে ৭২ করে গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত। শেষ দিকে রশিদ খানের ১১ বলে ২৪ ও রাহুল তেওয়াটিয়ার ১১ বলে ২২-এ দূর্দান্ত জয় পায় গুজরাট।
এই ম্যাচে ২ উইকেট নিয়েছেন রাজস্থানের স্পিনার যুযবেন্দ্র চাহাল। তাতে এবারের আইপিএলে তার উইকেট ১০টি, মোস্তাফিজুর রহমানের ৯টি। সবচেয়ে বেশি উইকেটের স্বীকৃতি বেগুনি টুপিটা তাই মোস্তফিজের কাছ থেকে দখলে নিলেন চাহাল।
জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৩৫ রান। কুলদীপ সেনের করা ১৯তম ওভারে চড়াও হন রশিদ খান ও রাহুল তেওয়াটিয়া। সেই ওভার থেকে আসে ২০ রান। শেষ ওভার দরকার তখন ১৫ রান। শেষ ওভার করার সময় ৫ মিনিট পিছিয়ে ছিল রাজস্থান, তাই পেতে হয় ফিল্ডিং পেনাল্টি। ৩০ গজের বৃত্তে রাখতে হয় বাড়তি ফিল্ডার।
এর সুবিধটা নেয় গুজরাট। আভেশ খানের করা প্রথম ৪ বলে তারা নেয় ১১। শেষ দুই বলে দরকার তখন ৪ রান। ম্যাচে চলছিল রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। পঞ্চম বলে তেওয়াটিয়া রান আউট হলেও সেই বলে যোগ হয় ২ রান।
শেষ বলে দরকার ছিল ২। রশিদ খান আর কোনও নাটকের জন্ম না দিয়ে মারেন বাউন্ডারি। ৩ উইকেটের অসাধারণ জয় পায় গুজরাট।
এর আগে গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিল আলোচনার জন্ম দেন আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করে। ১৭তম ওভারে মোহিত শর্মা করা একটি বল ওয়াইড দিয়েছিলেন আম্পায়ার বিনোদ শেশান। এই সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় ডিআরএস নেন গিল।
সেই বলের রিপ্লে দেখার পর তৃতীয় আম্পায়ার কেএন অনন্তপদ্মনাভন প্রথমে জানান, বল বৈধ।
এর পরেই ঘটে বিপত্তি। দ্বিতীয় বার রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার অনন্তপদ্মনাভন জানান, তার প্রথম পর্যবেক্ষণ সঠিক ছিল না। ক্রিজ়ে সঞ্জুর নড়াচড়ার জন্য বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। বলটি লাইনের বাইরে পড়েছে, তাই ওয়াইড।
বিস্ময় প্রকাশ করেন গুজরাটের অন্য ক্রিকেটারেরাও। শুভমান গিল ছুটে যান আম্পায়ারের কাছে। তাকে উত্তেজিত ভাবে বিনোদের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়। এই কাণ্ডে শাস্তিও হতে পারে গিলের।